কুতুব অধ্যায়ের পর আলোচনায় পনির

জাহিদ হোসেন পনির
হকিকত জাহান হকি
প্রকাশ: ২৩ আগস্ট ২০২৩ | ১৮:০০
ভূমি মন্ত্রণালয়ে কুতুব অধ্যায়ের পর এখন আলোচনায় জাহিদ হোসেন পনির। কোনো কাজ না করেই ভুয়া বিল-ভাউচার জমা দিয়ে পনির হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা। তিনি ভূমি মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল হেড। তবে এ কাজে তাঁর আগ্রহ কম। যেসব কাজে নগদ টাকা ও বিল-ভাউচারের বিষয় আছে, সেখানেই তিনি সক্রিয়।
ভূমি প্রশাসন বিভাগ থেকে সব ধরনের সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওয়ার্কশপের আয়োজন করার কথা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে পনির তাঁর দায়িত্বের বাইরে এসব কর্মসূচির আয়োজন করেছেন। এক হিসাব থেকে জানা গেছে, যেসব সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওয়ার্কশপের নামে অর্থ তুলে নেওয়া হয়েছে– এর ৭৫ শতাংশ কর্মসূচি ছিল কাগুজে। এসব কাগুজে কর্মসূচিতে পনির বক্তব্য দেওয়ার নামে মোটা অঙ্কের সম্মানীর টাকা তুলেছেন।
তিনি নিজেই ভুয়া বিল-ভাউচার তৈরি করে প্রশাসন শাখাকে পাশ কাটিয়ে মন্ত্রণালয়ের হিসাব শাখায় জমা দিয়ে টাকা তুলে নেন। ওই সব বিল-ভাউচারের কপি প্রশাসন শাখায় জমা দেওয়া হয়নি। মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের (সিএজি) কার্যালয়ের নিরীক্ষায় দেখা গেছে, তিনি ১৮টি বিষয়ে বিশেষজ্ঞ। ওই ১৮টি বিষয়ে সেমিনারসহ নানা আয়োজনে বক্তব্যের নামে সম্মানীর অর্থ নিয়েছেন। ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. মকবুল হোসেন এমপি সমকালকে বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন পনিরের অর্থ আত্মসাতের তথ্য সিএজি কার্যালয় থেকে তারা পেয়েছেন। ওই সব তথ্য নিয়ে কমিটি কাজ করছে। সম্প্রতি স্থায়ী কমিটির সভায় পনিরের দুর্নীতি নিয়ে আলোচনা হয়। তাঁকে ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে সরকারের কোনো প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বদলি করার জন্য প্রাথমিকভাবে সুপারিশ করেছে স্থায়ী কমিটি। পরে এ-সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানার জন্য পনিরকে ফোন করা হলে তিনি কথা বলতে আগ্রহী হননি। এক পর্যায়ে তিনি ফোন কেটে দেন। এরপর বারবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।