ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

মানুষ মারা যায় এমন কীটনাশক স্প্রে করতে পারব না

মানুষ মারা যায় এমন কীটনাশক স্প্রে করতে পারব না

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। ফাইল ছবি

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১২:৪৮ | আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৪:১০

এডিস মশার বিস্তার রোধে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কিছুটা সাড়া মিলছে। কিন্তু যে পর্যায়ের জনসম্পৃক্ততা প্রয়োজন তা পাওয়া যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, পৃথিবীতে যত মশা মারার কার্যকর ওষুধ আছে, সেগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে। এমন কীটনাশক স্প্রে করতে পারব না, যে মশা মারতে গিয়ে মানুষ মরে যায়। 

আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ‘জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস’ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। 

তাজুল ইসলাম বলেন, সরলভাবে বলি- আমাদের সব মানুষকে এ ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে। আপনার বাড়িতে, আমার বাড়িতে যদি মশা না পাওয়া যায়, তাহলে কি দেশে মশা থাকবে। আমার বাড়ি তো আমি পরিষ্কার রাখতেই পারি।

‘ওষুধের কার্যক্রম ও মশকনিধন ঠিকমতো হচ্ছে না’ বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী এমন প্রশ্ন তুলেছেন কিনা আমি জানি না। চিকিৎসার বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা আমাদের হাসপাতালগুলো দেখবে। মশকনিধনের দায়িত্ব আমাদের মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলো পালন করবে। সঙ্গে সাধারণ মানুষও অংশগ্রহণ করবেন।

২০১৯ সাল থেকে আমাদের এখানে ডেঙ্গু রোগের তীব্রতা বাড়ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, গত কয়েক বছর এটি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু এ বছর মাত্রারিক্ত সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। গত বছর পর্যন্ত রোগটি ঢাকাসহ শহরে এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। এবার তা গ্রাম পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, সারা পৃথিবীতেই নিয়ন্ত্রণের একটি পদ্ধতি হলো- সব মানুষের অংশগ্রহণ। মশা নিয়ন্ত্রণে সিটি কর্পোরেশনগুলো কাজ করছে। জনগণও আন্তরিকতার সঙ্গে এগিয়ে এসেছে, তাদের অংশগ্রহণ আছে। কিন্তু যেভাবে অংশগ্রহণ দরকার, আমার মনে হয়, সেটা হচ্ছে না।

আমাদের দেশে মশানিধনে সারা বছর কার্যক্রম চলে জানিয়ে তাজুল বলেন, তবে এখন চলে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। বর্ষকালের পরে তো এডিস মশা তেমন থাকে না। 

তিনি আরও বলেন, পৃথিবীতে যত কার্যকরী ওষুধ আছে, সেগুলো আমরা স্প্রে করি। এর সঙ্গে জনস্বাস্থ্যের বিষয়গুলোও চিন্তা করতে হয়। আমি তো এমন কোনো কীটনাশক স্প্রে করতে পারব না, যেটাতে মশা মারতে গিয়ে মানুষ মরে যাবে। এ ব্যাপারে আমাদের সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। 

আরও পড়ুন

×