ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

ইতালি নাগরিক তাবেলা সিজার হত্যায় তিনজনের যাবজ্জীবন

ইতালি নাগরিক তাবেলা সিজার হত্যায় তিনজনের যাবজ্জীবন

আদালত চত্বরে হাজির করা হয় আসামিদের

আদালত প্রতিবেদক 

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৫ | ১৪:২৩ | আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৫ | ১৫:৫২

আসামিদের মধ্যে তামজিদ আহমেদ, রাসেল চৌধুরী, মিনহাজুল, মতিন ও শাখাওয়াত আদালতে বিভিন্ন সময়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেন। চার্জশিটভুক্ত আসামি কাইয়ুম ও সোহেল মামলার বিচার চলাকালে পলাতক ছিলেন। মতিন জামিনে এবং বাকি চার আসামি কারাগারে ছিলেন। রায় ঘোষণার সময় কারাগারে থাকাদের আদালতে উপস্থিত করা হয়। 

আসামিপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্ট্রার এ কে এম ফখরুল ইসলাম এ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, কোনো সাক্ষী এই চারজনকে শনাক্ত করতে পারেনি। সাতজনের মধ্যে চারজন খালাস, তিনজন যাবজ্জীবন ও ৫০ হাজার জরিমানা। এ জন্য আমরা আসামিপক্ষ খুবই অসন্তুষ্ট। তিনি বলেন, এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) স্বীকার করেছেন, ঘটনাস্থনের ভিডিও ফুটেজ থেকেও আসামিদের শনাক্ত করা যায়নি। ১৬৪ ধারায়ও তারা বলেছেন, গ্রেপ্তারের আগেই তাদের গুম করা হয়, জিডিও করা হয়েছিল। এই তিনজনকেও খালাস দেওয়া উচিত ছিল। 

২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন তাবেলা সিজার। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় গুলশান ৯০ নম্বর সড়কের পশ্চিম প্রান্তে গুলশান অ্যাভিনিউ সংলগ্ন গভর্নর হাউজের দক্ষিণের দেওয়াল ঘেঁষা ফুটপাতে দুর্বৃত্তরা তাবেলা সিজারকে গুলি করে। ওই সময় স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাঁকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এরপর ইসলামিক স্টেট (আইএস) দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয় বলে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়।

ওই হত্যাকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে নেদারল্যান্ডসভিত্তিক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আইসিসিও কো-অপারেশনের বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি হেলেন দার বিক বাদী হয়ে গুলশান থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করা হয়।

২০১৬ সালের ২৮ জুন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার এম এ কাইয়ুমসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক গোলাম রাব্বানী। একই বছরে ২৪ আগস্ট তৎকালীন মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা অভিযোগপত্র (চার্জশিট) গ্রহণ করেন।

মামলার অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, হামলাকারীদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল একজন শ্বেতাঙ্গকে হত্যা করে দেশ-বিদেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়া। দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে এই পরিকল্পনা করা হয়।
 

আরও পড়ুন

×