ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

দলীয় সরকারের অধীনে কখনও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি: বদিউল আলম মজুমদার

দলীয় সরকারের অধীনে কখনও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি: বদিউল আলম মজুমদার

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে কথা বলছেন বদিউল আলম মজুমদার - সমকাল

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৩ | ১৬:৫১ | আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৩ | ১৭:০৩

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, দলীয় সরকারের অধীনে কখনও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হয়নি। গত দুটিও হয়নি। ভবিষ্যতে হবে বলেও আশা করা যায় না।

তিনি বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে নতুন করে যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, রাজনীতিবিদদের কাছেই তার সমাধান আছে। তাদের দায়িত্ব এর সমাধান বের করা। দল, মত নির্বিশেষে শর্তহীন সংলাপ হওয়া প্রয়োজন। সংলাপের জন্য সংলাপ প্রয়োজন, এখানেই সংকটের সমাধান আছে। সংলাপের বিকল্প নেই।

রোববার রাতে রাজধানী গুলশানের একটি হোটেলে প্রাক নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের চলমান বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক নির্বাচন দলে এনডিএ, আইআরআই এবং মালয়েশিয়ার একজনসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি ছিলেন।

প্রতিনিধি দল বদিউল আলম মজুমদারকে কিছু বলেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা কোনো মন্তব্য করেনি। তারা শুধু জানতে চেয়েছে। আমি আমার কথা বলেছি।

তিনি বলেন, আমি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে বলছি না। তবে আমাদের এমন একটি সরকার থাকতে হবে যারা নির্বাচনকালীন সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করবে। নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ আচরণ করবে। গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজ তাদের ভূমিকা পালন করতে পারবে। যেটি দলীয় সরকারের অধীনে কখনও হয়নি। আমি আশা করব, আমাদের রাজনীতিবিদরা সংলাপে বসে সমঝোতার মাধ্যমে সমাধান বের করবে। আমাদের তরুণ প্রজন্ম ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের স্বার্থে তাদের সংলাপে বসা উচিত।

বদিউল আলম বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক নির্বাচনী প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়েই কথা হয়েছে। আমাদের একটা সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন দরকার। ২০১৪ সালে একতরফা নির্বাচন হয়েছে। ২০১৮ সালে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলেও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়নি। এ নির্বাচন নিয়ে অনেক অভিযোগ আছে। আমাদের একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন দরকার। কারণ প্রতি ৫ বছর পর পর আমরা এই সমস্যার সম্মুখীন হই। ৫২ বছরেও আমরা এই সমস্যার সমাধান বের করতে পারিনি। সুষ্ঠু নির্বাচনের পদ্ধতি বের করতে পারিনি।

তিনি বলেন, নির্বাচন বলতে আমরা বুঝি চয়েজ। বিকল্প থেকে বেছে নেওয়া। কিন্তু বিকল্পই যদি না থাকে, তবে নির্বাচন কী করে হবে? নির্বাচন কমিশন নিজেরাই বলে তারা বিতর্কিত। তারা একটার পর একটা বিতর্কিত কাজ করেই যাচ্ছে। সম্প্রতি নিবন্ধন পাওয়া দুটি দল নিয়েও বিতর্ক আছে। গাইবান্ধা উপনির্বাচনে রাঘব বোয়ালদের ছাড় দিয়েছে তারা।

ইভিএম নিয়ে তিনি বলেন, এখানে তো কাগজের কোনো কারবার নেই। তারা যে ফলাফল দিবে তাই মেনে নিতে হবে। এগুলো জনগণের জন্য মেনে নেওয়া কষ্টকর।

আরও পড়ুন

×