ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

৩৯০ কোটি টাকা প্রণোদনা চায় বেসরকারি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

৩৯০ কোটি টাকা প্রণোদনা চায় বেসরকারি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

ফাইল ছবি

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২০ | ০৭:১০

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সারাদেশের বেসরকারি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষতি পুষিয়ে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ৩০০ কোটি টাকার ‘কারিগরি ইনস্টিটিউট প্রণোদনা প্যাকেজ’ চেয়েছেন এসব প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তারা। শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষাউপমন্ত্রীর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর আবেদন করেছেন বেসরকারি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতাদের সংগঠন ‘টেকনিক্যাল এডুকেশন কনসোর্টিয়াম অব বাংলাদেশ (টেকবিডি)’।

টেকবিডির সভাপতি প্রকৌশলী আবদুল আজিজ ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইমরান চৌধুরী স্বাক্ষরিত এ আবেদনে বলা হয়, বর্তমানে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড অনুমোদিত ৩৩টি শিক্ষাক্রমে দেশে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে ১০ হাজার ৪৫২টি (সরকারি ৬৯৩টি ও বেসরকারি ৯,৭৫৯টি) শিক্ষা পপ্রতিষ্ঠানে পরিচালিত হচ্ছে। এসব শিক্ষাক্রমে ২০১৮-১৯ সেশনে রেজিস্ট্রেশনকৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায়  ৭ লাখ ২১ হাজার ৭৯জন। এর মধ্যে মহিলা শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লাখ ১৪ হাজার ২৯৪জন। কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ক্ষেত্রে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে মাধ্যমিক স্তরে এনরোলমেন্ট বর্তমানে ১৬.০৫%। দেশের সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি স্বঅর্থায়নে পরিচালিত বেসরকারি পলিটেকনিকসমূহ কারিগরি শিক্ষায় এক যুগান্তকারী ও সময়োপযোগী ভূমিকা পালন করছে। দেশের জনগোষ্ঠীকে আত্মনির্ভরশীল ও বেকার সমস্যা দূরীকরণে ভূমিকা রাখছে। বেসরকারি কারিগরি প্রতিষ্ঠানসমূহ বেতন-ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে  সরকারি কোন অনুদান বা আর্থিক সহযোগিতা পায় না এবং কখনো পাওয়ার জন্য আবেদনও করে না। কিন্ত বর্তমানে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরিচালিত ও অনুমোদনপ্রাপ্ত বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা দিশেহারা। ১৭ মার্চ থেকে সরকারের সিদ্ধান্তে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। 

আবেদনে দেশের বেসরকারি কারিগরি প্রতিষ্ঠানের জন্য অন্যান্য পেশার মতো সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতার জন্য তিনশত নব্বই কোটি টাকার প্রণোদনা তহবিল গঠন করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানানো হয়। কারিগরি প্রতিষ্ঠানের জন্য ৫ বছর মেয়াদি (প্রথম বছর  গ্রেস পিরিয়ড হিসেবে  বিবেচনা করে ) ২ শতাংশ সুদে জামানতবিহীন ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়, স্ব-অর্থায়নে পরিচালিত কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরিচালিত বেসরকারি কারিগরি প্রতিষ্ঠানগুলো নানা কারণে অর্থনৈতিক দুর্বলতার শিকার। এ প্রতিষ্ঠানগুলো বেশিরভাগ ভাড়া বাড়িতে পরিচালিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায়কৃত বেতন দিয়েই প্রতিষ্ঠানের ভবন ভাড়া, সব ইউটিলিটি বিল এবং শিক্ষক এবং কর্মকর্তাদের  বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়। কিন্ত শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখা সত্বেও দুর্যোগকালীন সময়ে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টিউশন ফিসহ অন্যান্য পাওনা আদায় করে না। এতে করে সব বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আর্থিক মহাসংকটে পড়েছে এবং এই সংকটের প্রভাব পড়েছে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতার ওপর। এই কারিগরি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা খুব সামান্য বেতনে শিক্ষকতা করে দেশের ভবিষৎ প্রজন্মকে গড়ে তোলার  গুরুদায়িত্ব পালন করছেন।

আরও পড়ুন

×