হরতালে সড়কে বাস না থাকায় যাত্রীদের দায়ী করল সমিতি

রাজধানীর সায়েদাবাদ থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কোনো বাস ছাড়েনি। ছবি: সমকাল
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০২৩ | ১৬:৪৯ | আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২৩ | ১৬:৫৭
সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি হরতাল প্রত্যাখানের ঘোষণা দিলেও রোববার রাজধানীতে বাস ছিল কম। সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেছেন, বিএনপির কর্মসূচিতে সাধারণত নাশকতা হয়। এই ভয়ে কেউ কেউ গাড়ি চালাতে পারে না। নির্দেশ ছিল বাস চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। তবে যাত্রী না থাকার ফলে বাসের সংখ্যা কম ছিল।
রোববার রাজধানীর পরীবাগে সমিতির কার্যালয়ে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খানকে পাশে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির শনিবারের মহাসমাবেশ ঘিরে সহিংসতায় গণপরিবহনের ক্ষয়ক্ষতি তুলে ধরে বলা হয়, রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ১১টি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে।
খন্দকার এনায়েত বলেন, ২০১৩ এবং ২০১৫ সালে পাঁচ হাজার গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছিল। ৯৩ জন চালক-শ্রমিককে হত্যা করা হয়েছিল। তারপরও মালিক শ্রমিকরা বাস চলাচল সচল রেখেছিলেন। রোববারের হরতালেও সকাল থেকে দূরপাল্লা এবং রাজধানীর অভ্যন্তরীণ রুটে বাস বের হয়েছিল। এর মধ্যে ছয়টি বাস জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। একজন চালককে হত্যা করা হয়েছে। শুধু আজ (রোববার) নয়, বিএনপি সব সময় এই ধরনের নাশকতা করে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান বলেন, এতদিন পরিবহন মালিক শ্রমিকরা কারো পক্ষ নেয়নি। আশা ছিল, বিএনপি ২০১৩ এবং ২০১৫ সালের আগুন সন্ত্রাসের পুনরাবৃত্তি করবে না। কিন্তু তাদের থাবা আবার উন্মোচিত হয়েছে। ২০১৩ এবং ২০১৫ সালে গাড়িতে আগুনের ঘটনা বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি ছিল। বিচার হলে, এই ধরনের ঘটনা ঘটবে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, ঢাকা মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম. দপ্তর সম্পাদক সামদানী খন্দকার প্রমুখ