ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

ভাষা শিক্ষায় বড় দুর্বলতা রয়ে গেছে: শিক্ষা উপমন্ত্রী

ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির প্রথম সমাবর্তন

ভাষা শিক্ষায় বড় দুর্বলতা রয়ে গেছে: শিক্ষা উপমন্ত্রী

সমাবর্তনে বক্তব্যকালে শিক্ষা উপমন্ত্রী। ছবি-সংগৃহীত

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৩ | ০৯:০৭ | আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৩ | ১৭:১৮

ভাষাগত দক্ষতার কারণে বাংলাদেশের গ্র্যাজুয়েটরা অনেক পিছিয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি বলেন, অন্যান্য দেশের গ্র্যাজুয়েটদের সঙ্গে আমাদের দেশের গ্র্যাজুয়েটদের তুলনা করলে দেখা যাবে যে একটা বড় দুর্বলতার জায়গা চিহ্নিত হয়, সেটা হচ্ছে ভাষা।

মঙ্গলবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (ইইউবি) প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রপতি ও ইইউবির আচার্য মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের প্রতিনিধি হিসেবে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানের উপমন্ত্রী বলেন, ভাষার দিক দিয়ে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। আমরা ইংরেজি ভাষায় অ্যাকাডেমিক কাজগুলো করি সঠিক, কিন্তু ইংরেজি ভাষাকে ব্যবহার করে সেটাকে যোগাযোগের মাধ্যম বা কমিউনিকেশন টুল হিসেবে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আমাদের দক্ষতার ঘাটতি রয়েছে।

তিনি বলেন, যেকোনো বয়সে যেকোনো বিষয়ে আমি পড়াশোনা করি না কেন এই ভাষাগত জায়গায় আমাদের বেশি দখল নিতে হবে এবং দক্ষতা অর্জন করতে হবে। শুধু অনার্স-মাস্টার্স ইংরেজিতে থাকলে হবে না। সেই জায়গায় ইংরেজি থাকলেও ভাষাগত দক্ষতায় আমাদের কমতি আছে। প্রতিবেশী দেশগুলোর দিকে তাকালে দেখা যাবে, তাদের গ্র্যাজুয়েটদের এই জায়গাতে দক্ষতা বেশি বলে তারা পৃথিবীর নানা দেশে চাকরি পাচ্ছেন। এছাড়া দক্ষতা ও মূল্যবোধের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে, তাহলেই গ্রাজুয়েটরা সফলতা অর্জন করতে পারবেন।

মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ইন্ডাস্ট্রির চাহিদার সাথে প্রতিষ্ঠানের যে সরবরাহ, তাতে একটা দূরত্ব রয়ে গেছে। এই দূরত্ব আস্তে আস্তে কমিয়ে আনতে হবে। বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান যতটুকু গুরুত্বপূর্ণ, সমানভাবে সফট স্কিলগুলোও গুরুত্বপূর্ণ। পরিপূর্ণ মানুষ হতে হলে সফট স্কিল থাকতে হবে। জীবনব্যাপী শিক্ষা ছাড়া আমরা দক্ষ পেশাজীবী, ব্যবসায়ী বা শিক্ষক হতে পারব না। তাই এই বিষয়গুলোর প্রতি নজর দিতে হবে।

অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন ইইউবি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর। সম্মানিত সমাবর্তন বক্তা ছিলেন ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিকসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী খলিকুজ্জমান আহমদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ডঃ মোঃ সাজ্জাদ হোসেন। এছাড়া, ইইউবি ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মকবুল আহমেদ খান ও ইইউবি উপাচার্য ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আলিম দাদ উপস্থিত ছিলেন।

ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রথম সমাবর্তনে ২০১২ সাল থেকে ফল সেমিস্টার ২০২০ সময়কাল পর্যন্ত ৭ হাজার ৫৫৯ জন শিক্ষার্থীকে গ্র্যাজুয়েশন ও পোস্টগ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৬ হাজার ৯৪৮ জন স্নাতক এবং ৬১১ জন স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী ছিলেন। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য একজন শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড ও আটজন শিক্ষার্থীকে ভাইস-চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

আরও পড়ুন

×