পদোন্নতিতে অনিয়মের অভিযোগ, রাজউকের ব্যাখ্যা চায় মানবাধিকার কমিশন

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্রধান প্রকৌশলী পদে পদোন্নতিতে অনিয়মের অভিযোগে ব্যাখ্যা চেয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। শনিবার প্রতিষ্ঠানের উপ-পরিচালক ফারহানা সাঈদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী (বাস্তবায়ন) পদে অনিয়ম করে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে বঞ্চিত করে কনিষ্ঠ কর্মকর্তাকে চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পেয়েছে কমিশন।

বিষয়টি স্পষ্ট করতে রাজউক চেয়ারম্যানকে ব্যাখ্যা দিতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আদেশের অনুলিপি ইতোমধ্যেই গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর পাঠানো হয়েছে।

সম্প্রতি রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী (বাস্তবায়ন) পদে অনিয়মের মাধ্যমে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে বঞ্চিত করে কনিষ্ঠ কর্মকর্তাকে চলতি দায়িত্ব দেয়ার অভিযোগ পায় কমিশন। পরে কমিশনের বেঞ্চে এ অভিযোগ পর্যালোচনায় দেখা যায়, যাকে চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, জ্যেষ্ঠতা বিবেচনায় তার অবস্থান সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির পরে। এমনকি দুদকে চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগও অনুসন্ধানে রয়েছে।

এরপরও ওই কর্মকর্তা প্রধান প্রকৌশলীর (বাস্তবায়ন) চলতি দায়িত্বে বহাল তবিয়তে রয়েছেন, যা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০২৩ সালের ১৮ এপ্রিলে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। ওই প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, কোনো কর্মকর্তাকে ৬ মাসের বেশি চলতি দায়িত্ব প্রদানের প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট পদোন্নতি কমিটি বা বোর্ডের অনুমোদন নিতে হবে। অথচ, এ অনুমোদন না নিয়েই চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তিন বছরের বেশি ওই পদে নিয়োজিত রয়েছেন।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এক নম্বর বেঞ্চ মনে করে, রাজউকের ঊর্ধ্বতন এ পদে পদায়নের ক্ষেত্রে এমন অনিয়ম হয়, তবে তা দাপ্তরিক ব্যর্থতা, ব্যবস্থাপনার বিশৃঙ্খলা ও ইতোমধ্যেই উত্থাপিত দুর্নীতির ক্ষেত্রে প্রশ্রয়ের যোগসাজশের ইঙ্গিত বহন করে। এছাড়াও যদি বিধি মোতাবেক কেউ প্রাপ্যতা থেকে বঞ্চিত হয়, তবে তার মানবিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণ এবং তার মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়। এ কারণে বিষয়টি স্পষ্ট করতে রাজউকের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।