অবন্তিকার আত্মহত্যা: অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবিতে জবিতে মানববন্ধন

অবন্তিকার আত্মহত্যায় প্ররোচনার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
জবি প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৪ | ১৪:১৬ | আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৪ | ১৪:৪৮
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্রী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যায় প্ররোচনার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। সোমবার বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে একটি শোক র্যালি হয়। র্যালিটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনার চত্ত্বরে মানববন্ধনে পরিণত হয়। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অবন্তিকার আত্মহত্যার পেছনের কারণ তদন্ত করে অপরাধীদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
অবন্তিকার সহপাঠী সেতু পাল বলেন, আমারা কখনো ভাবিনি অবন্তিকার জীবন এমন হবে। যে সব সময় বলত, আত্মহত্যা কোনো সমাধান নয়। আমি চাই সুষ্ঠু তদন্ত হোক। যারা জড়িত তারা বেরিয়ে আসুক।
বিভাগের শিক্ষার্থী তনিম বলেন, আমরা একটা কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। আমরা বাকরুদ্ধ। আমি সুষ্ঠ বিচার চাই। এর পেছনে যে বা যারাই জড়িত তার যেন সুষ্ঠ বিচার হয়। সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে মূল অপরাধীকে সবার সামনে বের করে আনতে হবে।
মানববন্ধনে বিভাগের শিক্ষক আহমেদ এহসানুল কবির বলেন, ‘আমার সঙ্গে তার সপ্তাহে তিন দিন ক্লাসে দেখা হতো। ক্লাসে সে অ্যাক্টিভ ছাত্রী ছিল, মেধাবী ছিল। এক সময় এই মেধা বিকশিত হতো। আমরা একটি নক্ষত্রকে হারিয়েছি। আমি বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টা। আমরা চেষ্টা করেছি তাকে মানসিক শক্তি দিতে। একাধিকবার সতর্ক করেছি। হয়তো শেষ পর্যন্ত অবন্তিকা তার সমস্যাগুলো জানায়নি। জানালে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারতাম। আমি তদন্ত কমিটিকে আমার বক্তব্য দিয়েছি। আশা করি, আমরা ন্যায়বিচার পেতে সক্ষম হব।’
বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী আক্কাস সরকার বলেন, আমি আমার ৩৪ বছরের শিক্ষকতার জীবনে অনেক ঘটনা দেখেছি কিন্ত অবন্তিকার মৃত্যু অত্যন্ত কষ্টের। তার চলে যাওয়া শুধু পরিবারের ক্ষতি নয়, রাষ্ট্রের ক্ষতি। সে অনার্স শেষ করেছে। সে বিচারক হতে পারত। রাষ্ট্রের কাছে দাবি- তার আত্মহত্যার পেছনের কারণ বের করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক। প্রয়োজনে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে দ্রুত বিচার হোক। দৃষ্টান্তমূলক বিচার হোক যাতে আর কেউ এই ধরনের কাজ করার সাহস না পায়। মানববন্ধনে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।