উপাচার্য সমর্থকদের মারধর করে ক্যাম্পাস ছাড়া
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

ফাইল ছবি
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৪ | ২২:১৬ | আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৪ | ২২:২০
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নিয়োগ বাণিজ্য ও দুর্নীতির অভিযোগে শনিবার উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদের ব্যক্তিগত সহকারীসহ কয়েকজনকে মারধর করে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। শারফুদ্দিন আহমেদের মেয়াদের শেষ মুহূর্তে এ ঘটনা ঘটল। বিভিন্ন অভিযোগ তুলে গত মঙ্গলবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে স্বাচিপের নেতারা বিক্ষোভ করছেন।
উপাচার্যের কার্যালয়ে আজ সকালে বিক্ষোভ শুরু করেন আওয়ামী লীগপন্থি সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়টির কর্মকর্তা-কার্মচারী ও নার্সরাও অংশ নেন। একপর্যায়ে উপাচার্য শারফুদ্দিনের ব্যক্তিগত সহকারী ডা. রাসেল আহমেদ, একান্ত সচিব-২ দেবাশীষ বৈরাগী, কার্ডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. রসুল আমিন এবং ফায়সার ইবনে কবীরকে মারধর করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়া হয়।
চিকিৎসকদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। এরই মধ্যে উপাচার্ষের বিদায়ের মুহূর্তে অ্যাডহকের মাধ্যমে আরও শতাধিক শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।
আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা স্বাচিপের বিএসএমএমইউ শাখার সদস্য সচিব অধ্যাপক মো. আরিফুল ইসলাম জোয়ারদার টিটো বলেন, উপাচার্য গত তিন বছর ধরে ব্যাপক অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দিয়েছেন। প্রতিটি নিয়োগে ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকা লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে, যা গণমাধ্যমে উঠে এসেছে।
তিনি আরও বলেন, সাধারণত নতুন উপাচার্য নিয়োগ পাওয়ার পর আগের উপাচার্য শুধু দৈনন্দিন রুটিন কাজ করেন। কিন্তু এই উপাচার্য শতাধিক ডাক্তার, কর্মচারী ও ৩০ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন। সবাই মনে করছে, এই নিয়োগে অর্থের লেনদেন হচ্ছে।
উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদের অর্থের বিনিময়ে নিয়োগের বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত এবং তার তিন বছরে দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশেরও দাবি জানান অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম।
স্বাচিপের কেন্দ্রীয় কমিটির সমাজ কল্যাণ সম্পাদক জাকিল হোসেন সুমন বলেন, আমাদের এখন একটাই দাবি নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। তিন বছরে যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তাদের নিয়োগ বাতিল করা হোক।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, নিয়োগের বিষয়টি আগেই ফয়সালা হয়েছে, এখন সিন্ডিকেট বসার সিদ্ধান্তটাও আগেই নেওয়া হয়েছে। যারা বিরোধীতা করছে তারা কেউ আমার কাছে আসেনি। সবকিছু স্বচ্ছতার ভিত্তিতেই হয়েছে।
উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৮ মার্চ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক দীন মো. নূরুল হক গত ১১ মার্চ নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান। আগামী ২৯ মার্চ তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।