ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

ট্রান্সকমের ৩ কর্মকর্তাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

ট্রান্সকমের ৩ কর্মকর্তাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

ফাইল ছবি

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩১ মার্চ ২০২৪ | ১৬:৪৭

অভ্যন্তরীণ দ্বন্দে একটি হত্যা মামলায় ট্রান্সকম গ্রুপের শীর্ষ ৩ কর্মকর্তাকে দেশে ফেরার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেন।

ট্রান্সকম গ্রুপের ৩ শীর্ষ কর্তা হলেন- চেয়ারম্যান শাহনাজ রহমান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিমিন রহমান এবং হেড অব ট্রান্সফরমেশন যারেফ আয়াত হোসেন।

আজ আদালতে ট্রান্সকমের ৩ কর্মকর্তার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এমপি, আরেক সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক ও মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ।

এর আগে গত ২১ মার্চ আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত ট্রান্সকম গ্রুপের শীর্ষ ৩ কর্মকর্তা যেন নির্বিঘ্নে দেশে ফিরে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।

প্রসঙ্গত, কোম্পানির সম্পত্তি এবং শেয়ারসংক্রান্ত বিরোধের জেরে ট্রান্সকম গ্রুপের প্রয়াত চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানের মেয়ে শাযরেহ হক তার বড় বোন, ট্রান্সকম গ্রুপের বর্তমান সিইও সিমিন রহমান এবং গ্রুপের বর্তমান চেয়ারম্যান, তাদের মা শাহনাজ রহমানসহ ট্রান্সকমের ৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেন।

আইনজীবীদের তথ্য মতে, ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহনাজ রহমান, সিইও সিমিন রহমান ও হেড অব ট্রান্সফরমেশন যারেফ আয়াত হোসেন দেশের বাইরে রয়েছেন। পৃথক মামলা থাকায় তারা যেন দেশে ফিরে কোনো বাধা ছাড়া আদালতে আত্মসমর্পণ করতে পারেন, সে বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে তাদের পক্ষে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছিল।

রিটের শুনানি নিয়ে গত ২০ মার্চ হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন। ট্রান্সকমের ৩ কর্তা যাতে কোনো ধরনের হয়রানি ছাড়া নির্বিঘ্নে ৬০ দিনের মধ্যে আদালতের আত্মসমর্পণ করতে পারেন, সে বিষয়ে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এই আদেশ স্থগিত চেয়ে শাযরেহ হক আপিল বিভাগে আবেদন করেন।

এর আগে শাযরেহ হক বাদী হয়ে গুলশান থানায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি তিনটি মামলা করেন। এসব মামলায় কোম্পানির শেয়ার ও অর্থসম্পদ নিয়ে প্রতারণা, বিশ্বাস ভঙ্গ এবং জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে। ৩ মামলায় মা, ভাই, বোনসহ মোট ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

×