টিআইবির উদ্বেগ
ব্যক্তিগত তথ্য চুরি ও অনলাইনে বিক্রি হওয়া আতঙ্কজনক

ফাইল ছবি
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২ মে ২০২৪ | ০৫:০১
নাগরিকের ব্যক্তিগত ও স্পর্শকাতর তথ্য চুরি এবং অনলাইনে বিক্রির ঘটনাকে আতঙ্কজনক আখ্যা দিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটি বলেছে, অব্যাহতভাবে সরকারি সংস্থা থেকে তথ্য ফাঁসের ঘটনা সরকারের সক্ষমতা ও শুদ্ধাচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবি এসব কথা জানিয়েছে।
ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য ও মোবাইল ফোনের কল ডেটা রেকর্ডসহ (সিডিআর) নাগরিকের ব্যক্তিগত, গোপনীয় ও স্পর্শকাতর তথ্য চুরি এবং অনলাইনে বিক্রির ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দুটি সংস্থার কর্মীদের আইডি ব্যবহার করে এসব তথ্য চুরি হয়েছে।
এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে টিআইবি বলছে, নাগরিকের সংবেদনশীল তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা থেকে তথ্য পাচার, তাও আবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আইডি ব্যবহার করে তথ্য চুরি ও অনলাইনে বিক্রির ঘটনা রীতিমতো আতঙ্কজনক। তথ্য ফাঁস এবং এর মাধ্যমে ব্যবসায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি। পাশাপাশি জনগণের ব্যক্তিগত সুরক্ষার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে খসড়া ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইনটি ঢেলে সাজিয়ে দ্রুত পাস করার উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি।
সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র ও সিডিআরের মতো ব্যক্তিগত ও সংবেদনশীল তথ্য চুরির ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে জন্মনিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন গোপনীয় তথ্য চুরির অভিজ্ঞতা হয়েছে বাংলাদেশের নাগরিকদের। সর্বশেষ এমন একটি প্রতিষ্ঠান থেকে নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য পাচারের ঘটনা ঘটল, যারা এ তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত। আবার এমন ব্যক্তিদের ক্রেডেনশিয়াল ব্যবহার করে এই তথ্য পাচার হয়েছে, যারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। অর্থাৎ সরকার যে প্রক্রিয়া ও কারিগরি কাঠামোর মাধ্যমে নাগরিকের ব্যক্তিগত সংবেদনশীল তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চায়, তার সক্ষমতা ও শুদ্ধাচারও প্রশ্নবিদ্ধ। নাগরিকের তথ্য ফাঁস ও পাচারের সঙ্গে যুক্ত সবাইকে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা না করতে পারলে এসব উদ্যোগ অর্থবহ হবে না।