ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের ডিজিসহ ৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চিঠি

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের ডিজিসহ ৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চিঠি

ফাইল ছবি

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৪ | ১৯:১৮

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মাসুদ করিমসহ চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কৃষি মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সম্প্রতি এই সংক্রান্ত একটি চিঠি কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তারের কাছে পাঠিয়েছে দুদক।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ছাড়াও অভিযুক্ত অন্য কর্মকর্তারা হলেন- মহাপরিচালকের একান্ত সচিব মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, কুমিল্লা আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রধান সানোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কেন্দ্রের প্রধান আব্দুল কাদের। 

দুদকের চিঠিতে বলা হয়েছে, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের পার্টনার প্রকল্পে আর্থিক ও পদ্ধতিগত অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কৃষি সচিবকে সুপারিশ করা হয়েছে।

একের পর এক আজগুবি সিদ্ধান্ত, অদূরদর্শিতা, নানা অনিয়মের কারণে বিতর্কের মুখে পড়েছেন কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মাসুদ করিম। সবশেষ গত রমজানে ২৯ পণ্যের ‘মনগড়া’ দাম বেঁধে দিয়ে বাজার অস্থির করে তুলেছেন তিনি। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়লেও বাজার-সংশ্লিষ্ট কাউকে ডাকেননি। ঢাকাসহ সারাদেশে এখন বন্ধ অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘কৃষকের বাজার’। বাজারে বাজারে ঝুলছে এক-দুই বছর আগের পুরনো দামের তালিকা। প্রতিদিন ওয়েবসাইটে যে মূল্য তালিকা প্রকাশ করা হয়, তাও ভুলে ভরা। সারাদেশে ৬০০ জনবল এবং সব জেলায় কার্যালয় থাকলেও মাঠে নেই কোনো কর্মকর্তা। ৪০ বছরের তথ্যভাণ্ডার উধাও হয়ে গেছে অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে। দুটি ওয়েবসাইটে নেই একসময়ের ২৭১টি কৃষিপণ্যের বাজারমূল্য, ৮২ হাজার বাজারের তথ্য। কৃষকের পণ্য অনলাইনে বিক্রি করতে ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘সদাই’ ওয়েবসাইট এবং দুটি মোবাইল অ্যাপ বানিয়ে সেগুলো পরীক্ষামূলক চালু রেখেই আবার আড়াই কোটি টাকা খরচা করে একই ধরনের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হচ্ছে। 

সম্প্রতি অধিদপ্তরে ১৫৩ জনবল নিয়োগেও উঠেছে অনিয়মের বিস্তর অভিযোগ। কৃষককে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা ও বাজার তদারকি করার কথা যাদের, সেই কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের এমন হ-য-ব-র-ল পরিস্থিতিতে ঠকছেন কৃষক-ভোক্তা, আর সরকারের অপচয় হচ্ছে শত শত কোটি টাকা। এ বিষয়ে গত ৩১ মার্চ সমকালে ‘‘মহাক্ষমতা’র মহাপরিচালক” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়।

আরও পড়ুন

×