ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

কমিশন বৃদ্ধির দাবি সিএনজি স্টেশন মালিকদের

গ্রাহক পর্যায়ে বাড়তে পারে গ্যাসের দাম

কমিশন বৃদ্ধির দাবি সিএনজি স্টেশন মালিকদের

ফাইল ছবি

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৪ | ০৭:৩৮

বিদ্যুৎ ও ডলারের মূল্য বৃদ্ধিতে খরচ বেড়ে যাওয়ায় প্রতি ঘনমিটার গ্যাস বিক্রির বিপরীতে ৫ টাকা ১০ পয়সা কমিশন (মার্জিন) বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন সিএনজি স্টেশন মালিকরা। গতকাল রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন।

সিএনজি স্টেশন মালিকরা এখন প্রতি ঘনমিটার গ্যাস বেচে ৮ টাকা কমিশন পান। দাবি কার্যকর হলে তা হবে ১৩ টাকা ১০ পয়সা।

খাত-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জ্বালানি বিভাগ ফিড গ্যাসের দাম সমন্বয় না করে কমিশন বাড়ালে তা গ্রাহককে বহন করতে হবে। অর্থ্যাৎ গ্যাসের দাম বাড়বে। গ্রাহকরা এমনিতেই গ্যাস পাচ্ছেন না। এ সময় কমিশন বৃদ্ধি তাদের জন্য বোঝা হতে পারে।

বর্তমানে প্রতি ঘনমিটার সিএনজি গ্যাসের দাম ৪৩ টাকা। এর মধ্যে ফিড গ্যাসের (বিতরণ কোম্পানি যে গ্যাস সরবরাহ করে) মূল্য ৩৫। আর স্টেশন মালিকদের কমিশন ৮ টাকা। যদিও এক প্রশ্নের জবাবে মালিক সংগঠনের মহাসচিব ফারহান নূর সমকালকে বলেছেন, সরকার ফিড গ্যাসের সঙ্গে বর্ধিত কমিশন সমন্বয় করলে সাধারণ গ্রাহকের ওপর এটা চাপবে না।

এর আগে সংবাদ সম্মেলনে ফারহান নূর জানান, ২০১৫ সাল থেকে তারা একই কমিশন পাচ্ছেন। ২০১৪ সালে প্রতি ঘনমিটার গ্যাস ৩০ টাকা বিক্রি করে বিদ্যুৎ খরচ বাদে থাকত ৩ টাকা ৫৪ পয়সা। এখন ৪৩ টাকা বিক্রি করে থাকছে ২ টাকা ৬৮ পয়সা। এ টাকায় পরিচালন খরচ ও রক্ষণাবেক্ষণ কঠিন হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে  ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে যন্ত্রপাতি আমদানিতে বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে। কমিশন না বাড়ালে অনেক স্টেশন বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

একটি সিএনজি ফিলিং স্টেশনের তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০১৫ সালের মার্চে ৯৬ হাজার ৯৩ ঘনমিটার গ্যাস বিক্রি করা স্টেশন এ বছর করেছে মাত্র ৬৬ হাজার ৭১৮ ঘনমিটার। সারাদেশে ৫২৪ ফিলিং স্টেশন চালু রয়েছে। এর মধ্যে ৬০টির বেশি বন্ধ হয়ে গেছে। আরও কিছু বন্ধের পথে।

এ সময় সংগঠনের সভাপতি মনোরঞ্জন ভক্ত, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুলাহ আল মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন

×