গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো সাদিক এগ্রোর পুরো খামার

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সাদিক এগ্রোর খামারে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উচ্ছেদ অভিযান। ছবি: সমকাল
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪ | ২২:৫২ | আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪ | ১১:৪০
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সাতমসজিদ এলাকায় সাদিক এগ্রোর পুরো খামার গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। খাল উদ্ধারে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উচ্ছেদ অভিযানের তৃতীয় দিন শনিবার খামারটি একেবারে ভেঙে দেওয়া হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। সেদিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কেবল রামচন্দ্রপুর খালের ওপর থাকা স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন। সাদিক এগ্রোর পুরো খামার গুঁড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ট্রেড লাইসেন্স না থাকা, আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক স্থাপনা এবং খালের পাড় ঘেঁষে স্থাপনা গড়ার নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়েছে। অভিযানের নেতৃত্ব দেন ডিএনসিসির অঞ্চল ৫-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ এবং ডিএনসিসির সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব হাসান। এ সময় স্থানীয় কাউন্সিলর আসিফ আহমেদও উপস্থিত ছিলেন।
মোতাকাব্বীর আহমেদ বলেন, খালের পাশে ও আবাসিক এলাকায় গরুর খামার রাখার নিয়ম নেই। আর তাদের (সাদিক এগ্রো) ট্রেড লাইসেন্স ছিল না। সবকিছু মিলিয়ে সাদিক এগ্রোর অবৈধ স্থাপনাগুলো আমরা ভেঙে দিয়েছি। খালের ওপর তো না-ই, এমনকি খালের পাড় ঘেঁষেও বাড়ি করা যাবে না, এটারও একটা নীতিমালা আছে। এই নীতিমালাও তারা অনুসরণ করেনি।
তিনি আরও বলেন, তিন দিনের অভিযানে শতাধিক স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়ে এখন পর্যন্ত খালের বিপুল পরিমাণ জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে। আর খালের কয়েকশ টন বর্জ্য পরিষ্কার করে বর্তমানে খাল খননের কাজ চলছে।
অভিযানের প্রথম দিন সাদিক এগ্রোর স্থাপনার শুধু পেছনের অংশ ভাঙা হয়। সেদিন ডিএনসিসির পক্ষ থেকে বলা হয়, সাদিক এগ্রোর পেছনের কিছু অংশ খালের (রামচন্দ্রপুর খাল) জায়গায় পড়েছে। পুরো স্থাপনা খালের জায়গায় পড়েনি। শুক্রবারও উচ্ছেদ অভিযান চলে, কিন্তু খারাপ আবহাওয়ায় বিঘ্নিত হয় কার্যক্রম। উচ্ছেদের পর সাদিক এগ্রোর খামারে থাকা গরুগুলো সরিয়ে নেওয়া হয় সাভারে প্রতিষ্ঠানটির আরেকটি খামারে।
- বিষয় :
- রাজধানী
- অভিযান
- ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন