এমপি আজীম হত্যা: আদালতে আসামি মোস্তাফিজের দায় স্বীকার

এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার। ফাইল ছবি
আদালত প্রতিবেদক ও কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪ | ০৭:০২ | আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪ | ১১:৫৪
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার মোস্তাফিজুর রহমান ফকির আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে গতকাল মঙ্গলবার তাঁর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জবানবন্দিতে মোস্তাফিজুর বলেন, এমপি আজীম হত্যা মামলার প্রধান আসামি শিমুল ভূঁইয়ার সঙ্গে তাঁর ও আরেক আসামি ফয়সাল আলী শাজীর যোগাযোগ হয় গত মার্চে। বড় অঙ্কের অর্থ দেওয়ার কথা বলে তাদের ভারতে যেতে বলা হয়। ভারতে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট, ভিসা, টিকিটসহ সব কাজ করে দেওয়ার বিষয়ে শিমুল ভূঁইয়া আশ্বাস দেন। পাসপোর্ট করার জন্য শিমুল টাকাও দেন। পরে ১৫ এপ্রিল মোস্তাফিজ ও ফয়সাল ঢাকায় এসে হত্যাকাণ্ডের প্রধান পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীনের বসুন্ধরার বাসায় ওঠেন। এরপর ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত তারা ওই বাসায় অবস্থান করেন। আক্তারুজ্জামানের পরিকল্পনায় ২ মে তারা কলকাতা যান।
এদিকে আজীম হত্যার প্রতিবাদ ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে খুনিদের শাস্তি দাবি করেছেন কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের নেতাকর্মী। গতকাল সকালে শহরের কোটচাঁদপুর রোডে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান।
আজীম হত্যায় জড়িত সন্দেহে মোস্তাফিজুর রহমান ও ফয়সাল আলী শাজীকে গ্রেপ্তারের পর ২৭ জুন ছয় দিনের রিমান্ডে নেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গতকাল মোস্তাফিজকে আদালতে হাজির করা হয়। তিনি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। অন্য আসামি ফয়সাল রিমান্ডে রয়েছেন।
এ মামলায় শিমুল ভূঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে আমানুল্যাহ সাঈদ, তানভীর ভুঁইয়া, সেলিস্তি রহমান ও কাজী কামাল আহমেদ বাবু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ছাড়া ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার কোটচাঁদপুরে সংবাদ সম্মেলনে কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়ুব হোসেন লিখিত বক্তব্যে বলেন, এমপি আজীম হত্যার পর থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগ ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে দলের মধ্যে ষড়যন্ত্র ও গভীর চক্রান্ত শুরু হয়েছে। ১৩ মে কলকাতার একটি ফ্ল্যাটে খুন হন আনোয়ারুল আজীম।