ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

আলোচনা সভায় বক্তারা

শুধু কোটা নয়, রাষ্ট্রও সংস্কার করতে হবে

শুধু কোটা নয়, রাষ্ট্রও সংস্কার করতে হবে

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত আগ্রাসন বিরোধী নাগরিক সমাজের আলোচনা সভায় অতিথিরা। ছবি: সংগৃহীত

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৪ | ২১:১৮

শুধু কোটা সংস্কার আন্দোলন নয়, পুরো রাষ্ট্রকে সংস্কার করার আন্দোলন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। তারা বলেন, কেবল কোটা সংস্কারের মাধ্যমে সবার চাকরি নিশ্চিত হবে না, এজন্য দরকার রাষ্ট্র সংস্কার। আর সুন্দর রাষ্ট্র বিনির্মাণ ও সবার অধিকার নিশ্চিত করতে তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে।

বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আগ্রাসন বিরোধী নাগরিক সমাজের ব্যানারে ভারতের সঙ্গে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিরোধী চুক্তি এবং সমঝোতায় নাগরিক সমাজের উদ্বেগ ও করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় তারা এসব কথা বলেন।

আলোচনা সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ড. মাহবুবুল্লাহ বলেন, ভারতের চরিত্র না বুঝলে তাদের আধিপত্যের বিরুদ্ধে লড়াই সফল হবে না। তাই প্রতিবেশী দেশটির চরিত্রটা আগে বুঝতে হবে। পৃথিবীর এমন কোনো দেশ নেই যেখানে ভারতের লোক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নেই। দেশটি তাদের ভৌগোলিক সীমানাকে কালচারাল ভারত হিসেবেও বিবেচনা করে, তার পরিধি অনেক বড়। তাদের মনোভাব এমন যে, ছোট রাষ্ট্র হিসেবে কারও বেঁচে থাকার অধিকার নেই। এমন মনোভাব পোষণ করা দেশের আগ্রাসন থেকে কীভাবে রক্ষা পাবো- সেটা চিন্তার বিষয়। ভারত তাদের 'চিকেন-নেককে' স্পর্শকাতর হিসেবে দেখে। বাংলাদেশের সঙ্গে এই করিডোর সমঝোতা বিপদজনক। এর মাধ্যমে তৃতীয় রাষ্ট্র চীনের সঙ্গে বিরূপ সম্পর্ক তৈরি হতে পারে। একটি গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের মাধ্যমে দেশবিরোধী এ চুক্তি বাতিলের জন্য গণভোটের আয়োজন করতে হবে।

রাষ্ট্র বিজ্ঞানী দিলারা চৌধুরী বলেন, কোটা বিষয়টা মীমাংসিত ইস্যু, সেটা সরকার আবার সামনে কেন আনলো? এর পেছনে অন্য কোনো ঘটনা রয়েছে। আজিজ- বেনজীরদের দুর্নীতির খবর ঢাকতে এসবই নাটক। এসব করে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে নিতে চায়।

আলোকচিত্রী শহিদুল আলম বলেন, 'একটা দেশ এভাবে চলতে পারে না। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর এমন চুক্তি মেনে নেওয়া যায় না। পাশের দেশ এখানের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেও জনগণকে পারবে না। নরেন্দ্র মোদি টেনেটুনে সরকার গঠন করলেও আমাদের দেশেতো নির্বাচন ব্যবস্থাই ধ্বংস করে দিয়েছে।'

ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, ১৯৭২ সালে যে চুক্তি হয়েছিল তখনই মানুষ বলেছিলো- এটা গোলামির চুক্তি। ভারত বাংলাদেশকে কখনও মর্যাদা দেয় না। এমনকি দেশটি তাদের স্বাধীনতা দিবসে নেপাল ও ভুটানের মতো রাষ্ট্র প্রধানদের অতিথি করলেও বাংলাদেশের কাউকে অতিথি করে না।

সংগঠনের সদস্য মু. নিজাম উদ্দিনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন, আইনজীবী ও কলামিস্ট সাইমুম রেজা পিয়াস, লেখক ও সাংবাদিক মাহবুব মুর্শেদ প্রমুখ।

আরও পড়ুন

×