ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দেনা ২২০ কোটি ডলার

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দেনা ২২০ কোটি ডলার

বুধবার বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা। ছবি- সংগৃহীত

সমকাল প্রতি‌বেদক

প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০২৪ | ২০:৫৪ | আপডেট: ২১ আগস্ট ২০২৪ | ২০:৫৪

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সরকারের দেনা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২০ কোটি ডলার। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন। 

বুধবার বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে এই তথ্য জানিয়ে এক বিলিয়ন ডলার সহায়তা চান তিনি। সচিবালয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বব্যাংকের চার সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক। 

এ সময় ফাওজুল কবির খান বলেন, বর্তমান সরকার একটি দৃঢ় ম্যান্ডেট নিয়ে এসেছে। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনই বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইনে চলমান কার্যক্রম স্থগিত করেছেন। এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধিত) আইন এর ৩৪ক ধারায় বর্ণিত সরকার কর্তৃক বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য নির্ধারণের ক্ষমতা স্থগিত করেছে। প্রয়োজনে এ আইন দুটো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংশোধন/বাতিলের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এখন থেকে মন্ত্রণালয়ের সব ধরনের ক্রয় প্রক্রিয়ায় সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত আইন, ২০০৬ ও সরকারি কেনা-কাটা সম্পর্কিত বিধিমালা-২০০৮-এর বিধান ব্যবহার করা হবে।

উপদেষ্টা বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধির পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি আমদানি বাবদ বর্তমান বৈদেশিক মূল্য পরিশোধের দায় প্রায় ২.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তাই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বাজেট সহায়তার জন্য বিশ্ব ব্যাংককে এক বিলিয়ন ডলার প্রদানের অনুরোধ করেন।

আবদৌলায়ে সেক বলেন, তারা বর্তমান সরকারের কাজ করতে আন্তরিক। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বাজেট সহায়তার ব্যাপারে প্রস্তাব পেলে তারা আন্তরিকতার সঙ্গে বিবেচনা করবেন।

মতবিনিময় সভায় বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব হাবিবুর রহমান, জ্বালানি সচিব নূরুল আলম, অর্থ সচিব ড. খায়েরুজ্জামান মজুমদারসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ডলার ও নগদ অর্থ সঙ্কটে গ্যাস, বিদ্যুৎ, কয়লা ও জ্বালানি তেলের আমদানির মূল্য পরিশোধ করতে না পারায় এই দেনা জমেছে।

আরও পড়ুন

×