হাইকোর্টের রুল
কুইক রেন্টাল আইনে দায়মুক্তি কেন অসাংবিধানিক হবে না

ফাইল ফটো
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১৪:২৭ | আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১৪:৩৪
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (কুইক রেন্টাল) সংক্রান্ত আইনের দায়মুক্তি ও ক্রয় সংক্রান্ত দুটি ধারা কেন অসাংবিধানিক হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আইনের দুটি ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এই রুল জারি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে রিটকারী আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক নিজেই শুনানি করেন। তার সঙ্গে ছিলেন রিটকারী অপর আইনজীবী তায়েব উল ইসলাম সৌরভ। আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ড্রাফটিং বিভাগের সচিব, অর্থ বিভাগের সচিব, বিদ্যুৎ জালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানকে এই রিটে বিবাদী করা হয়।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন-২০১০ এর যে দুটি ধারা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে সেগুলো হলো; ‘আদালত, ইত্যাদির এখতিয়ার রহিতকরণ’ সংক্রান্ত ৯ ধারা। যেখানে বলা হয়েছে, এই আইনের অধীন কৃত বা কৃত বলিয়া বিবেচিত কোনো কার্য, গৃহীত কোনো ব্যবস্থা, প্রদত্ত কোনো আদেশ বা নির্দেশের বৈধতা সম্পর্কে কোনো আদালতের কাছে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না।
আইনের অপর যে ধারাটি চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে সেই ধারায় (৬ (২) বলা হয়েছে, উপ-ধারা (১) এ যা কিছুই থাকুক না কেন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রীর সম্মতিতে যেকোনো ক্রয়, বিনিয়োগ পরিকল্পনা বা প্রস্তাব ধারা ৫ এ বর্ণিত প্রক্রিয়াকরণ কমিটি সীমিত সংখ্যক অথবা একক কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ ও দরকষাকষির মাধ্যমে ওই কাজের জন্য মনোনীত করে ধারা ৭ এ বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণে অর্থনৈতিক বিষয় বা সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে পাঠানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
- বিষয় :
- বিদ্যুৎ ও জ্বালানি
- রুল
- হাইকোর্ট