ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

দেওয়ানবাগ দরবার শরীফ ও বিভিন্ন মাজারে হামলায় তীব্র নিন্দা

দেওয়ানবাগ দরবার শরীফ ও বিভিন্ন মাজারে হামলায় তীব্র নিন্দা

ছবি-সংগৃহীত

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২০:০৯

তাসাউফভিত্তিক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দেওয়ানবাগ শরীফসহ দেশের বিভিন্ন দরবার ও মাজারে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন দেওয়ানবাগ দরবার শরীফের নেতৃত্ব প্রদানকারী ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা। 

সোমবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তার পক্ষে এই আহ্বান জানান সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আবদুল আজিজ খলিফা। 

সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, দেওয়ানবাগ শরীফ কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত নয়। মানুষের প্রতি দয়া, প্রেম, ভালোবাসা প্রদর্শন এবং নিজেদের চরিত্র গঠনের মাধ্যমে আল্লাহ ও রাসুল (সা.) এর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যেই এই প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রম পরিচালিত হয়। তারপরও কেন, কার স্বার্থে বার বার মানুষকে বিভ্রান্ত করে দেওয়ানবাগ শরীফে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হচ্ছে? 

সংবাদ সম্মেলনে দেওয়ানবাগ শরীফের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবদুস সালাম, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. দেওয়ান ফারুকুল ইসলাম, বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জন ডা. মো. আমিনুল ইসলাম, আল কোরআন গবেষণা কেন্দ্রের সদস্য হযরতুল আল্লাম এমরান হোসাইন মাজহারী ও ইসলামী আলোচক হযরতুল আল্লাম সাব্বির আহমদ ওসমানীসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পিইউবি’র সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ নাছিরউদ্দীন সোহেল। 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সুফি সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত নারায়ণঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন দেওয়ানবাগ গ্রামে অবস্থিত বাবে জান্নাত দেওয়ানবাগ শরীফে এবং ৮ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহের ত্রিশালে বাবে বরকত দেওয়ানবাগ শরীফে হামলা, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, লুটপাট এবং সংশ্লিষ্ট দরবার দুটিতে অবস্থানরত নিরীহ ভক্তদের ওপর দুর্বৃত্তরা শারীরিক নির্যাতন চালায়। এর ফলে শতাধিক ভক্তরা মারাত্মক আহত হন এবং একজন মারা যান। এরা এর আগে ১৯৯০ সাল ও ১৯৯৯ সালেও দেওয়ানবাগ দরবার শরীফে হামলা চালিয়েছিল। 

তরিকতপন্থিদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, আজকের এই সংকট দেওয়ানবাগ শরীফের একার নয়। এই সংকট বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় সুফিবাদী জনগোষ্ঠীর। তাই ঐক্যবদ্ধভাবে এসব জুলুম-অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার এখুনি সঠিক সময়।

সংবাদ সম্মেলনে আলোচকরা বলেন, তরিকতপন্থিরা বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থার ভারসাম্য রক্ষায় মুখ্য ভূমিকা রেখে চলেছেন। তাই শান্তিপ্রিয় সুফিপন্থি জনগোষ্ঠীর কার্যক্রমে সন্ত্রাসী কায়দায় বাধা দিয়ে কোনো স্বার্থান্বেষী মহল যাতে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে না পারে, সরকারকে সেই বিষয়ে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

আরও পড়ুন

×