ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

ছোট্ট আবদুল রহমানের ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হওয়ার গল্প

ছোট্ট আবদুল রহমানের ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হওয়ার গল্প

ফ্রিল্যান্সার আবদুল

সমকাল ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১৩:১০ | আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১৭:০৩

প্রতিটি মানুষই বিশেষ কোনো প্রতিভা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। আর যদি সময়মতো ওই প্রতিভার যত্ন নেয়া হয়, তাহলে মানুষটি তার অঙ্গনে অনন্য হয়ে ওঠে। তেমনই একজন ছোট্ট আবদুল রহমান। তিনি অল্প বয়সেই ফ্রিল্যান্সিং দুনিয়ায় সফল হয়ে উঠেছেন। 

সফল হবার গল্প জানাতে গিয়ে খুদে এই ফ্রিল্যান্সার বলেন, ‘আসলে আমি শৈশব থেকেই অনলাইনের ব্যাপারগুলো খুব ভালো বুঝি এবং সেখানে ইন্টারেস্ট খুঁজে পাই। সেখান থেকেই আমি মেহনতের মাধ্যমে ধীরে ধীরে সামনে আগাতে থাকি এবং একপর্যায়ে খুব কম সময়েই ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে টাকা ইনকাম শুরু করতে সক্ষম হই।’

তিনি বলেন, কোনো পথই সহজ নয়; বরং নিজেকে সহজ করে নিতে হয়। আমি ২০১৮ সালে এ পথে পথচলা শুরু করি। প্রথমে একটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে মাইক্রোসফট অফিস অ্যাপ্লিকেশনের কোর্স সম্পন্ন করি। তারপর ২০১৯ সালে সেই প্রতিষ্ঠানে ‘ডিজিটাল মার্কেটিং ও ফিল্যান্সিং’ শিখি এবং যাত্রা শুরু করি ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসের জনপ্রিয় সাইট ফাইভার ও আপওয়ার্কে। 

আবদুল রহমান জানান ‘প্রথমে ৫ ডলারের একটি অর্ডারের মাধ্যমে তার ইনকাম শুরু হয় এবং বর্তমানে প্রতি মাসে গড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ ইউএস ডলার আয় করছেন তিনি। তার এই সফলতার পেছনে আল্লাহর সাহায্যকেই তিনি বড় হিসেবে দেখেন। এজন্য তিনি মহান আল্লাহর প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞ। 

সাইবার বিশেষজ্ঞ আবদুল রহমান এ পর্যন্ত প্রায় ১০-১৫টি দেশের ক্লায়েন্টের সঙ্গে কাজ করেছেন। এসব কাজের বিনিময়ে তিনি ঘরে বসেই উপার্জন করছেন বৈদেশিক মুদ্রা। পিরোজপুরে জন্মগ্রহণকারী আবদুল রহমান দেশের রেমিট্যান্স বাড়াতে সাহায্য করতে পেরে নিজেকে গর্বিতও মনে করেন। বলেন, ‘আসলে আমার মতো ছোট্ট একজন মানুষ দেশকে এগিয়ে নিতে অবদান রাখতে পারছি। এটা আমার জন্য অত্যন্ত গর্বের।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান যুগে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্ভাবনার একটি বিশাল ক্ষেত্র। দিন দিন এর গুরুত্ব বাড়ছে। আমি যদি ভালোভাবে পরিকল্পনা মতো ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ করতে পারি। আমি বিশ্বাস করি- সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছা সময়ের অপেক্ষা মাত্র। তবে আল্লাহর সাহায্যই বড় কথা।’

একটি নির্ভরযোগ্য আইটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার স্বপ্ন আবদুল রহমানের। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে ঘরে বসেই অনলাইনে কাজ করছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে আবদুল রহমান জানান, ইউটিউবে ভিডিও দেখে দেখে ও স্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় এসব কাজ শিখেছেন তিনি। সেই অদম্য আগ্রহের থেকেই গড়ে তুলেছেন ৪টি অনলাইন আইটি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এবং মানুষকে অনলাইনে নানা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

আরও পড়ুন

×