ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

লাইসেন্সকৃত অস্ত্র জমা দেননি প্রভাবশালীরা

লাইসেন্সকৃত অস্ত্র জমা দেননি প্রভাবশালীরা

.

 সারোয়ার সুমন, চট্টগ্রাম ও বকুল আহমেদ, ঢাকা

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ০১:২০ | আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১০:৩৯

ঢাকা-৫ আসনের সাবেক এমপি মশিউর রহমান মোল্লা সজলের দুটি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স রয়েছে। গত সাড়ে ১৫ বছর আওয়ামী লীগ শাসনামলের লাইসেন্স স্থগিত করে অন্তর্বর্তী সরকার আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দেওয়ার দিন বেঁধে দিলেও জমা দেননি তিনি। নারায়ণগঞ্জের সাবেক এমপি শামীম ওসমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যরাও অস্ত্র জমা দেননি। শুধু তারাই নন, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক একাধিক মন্ত্রী-এমপি অস্ত্র জমা না দেওয়ার তালিকায় রয়েছেন। এদিকে ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যারা অস্ত্র জমা দেননি, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। 

২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত টানা সাড়ে ১৫ বছর ক্ষমতায় ছিল আওয়ামী লীগ। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। এ অবস্থায় ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে শপথ নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য নেওয়া সব আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স (কর্মরত সামরিক-অসামরিক কর্মকর্তা বাদে) স্থগিত করে ২৫ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে। ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লাইসেন্স গ্রহীতা নিজে বা তাঁর মনোনীত প্রতিনিধির মাধ্যমে অস্ত্র ও গোলাবারুদ দেশের যে কোনো থানায় জমা দেওয়ার কথা বলা হয়। নির্ধারিত সময়ে জমা না দিলে সেসব অবৈধ অস্ত্র হিসেবে গণ্য করে গ্রহীতার নামে মামলা করার কথাও বলা হয়েছে। অবশ্য যাদের অস্ত্র থানা, জেলা ট্রেজারির ও আর্মস ডিলারের কাছে জমা রাখা আছে, তারা এর আওতার বাইরে থাকবেন। 

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সব অস্ত্র জমা পড়েছে কিনা, তা জানতে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বগুড়া, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, রাজাবাড়ী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, বরিশাল, রাঙ্গামাটি ও কক্সবাজারে খোঁজ নেয় সমকাল। জমাদানের চিত্র বুঝতে এসব মহানগর ও জেলা বেছে নেওয়া হয়। এসব মহানগর-জেলায় ইস্যুকৃত ৯৮৮টি অস্ত্র এখনও জমা পড়েনি। 

সূত্র জানিয়েছে, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে ঢাকা মহানগর এলাকায় লাইসেন্স ইস্যু হয়েছে ৪ হাজার ৭৬৭টি। এর মধ্যে জমাযোগ্য ২ হাজার ৯৬৬টি। তবে ঢাকায় জমা পড়েছে ২৩৪৩টি। অর্থাৎ ঢাকা জেলা প্রশাসনের হিসাবে ৬২৩টি জমা পড়েনি। ঢাকার ৫ উপজেলা– সাভার, কেরানীগঞ্জ, দোহার, নবাবগঞ্জ ও ধামরাই এলাকাই ইস্যুকৃত ৫৭২টির মধ্যে জমাযোগ্য ৪২১টি। জমা পড়েছে ২৮৩টি। ১৩৮টি জমা পড়েনি ঢাকা জেলায়। তবে এসব অস্ত্র অন্য কোনো জেলার থানায় জমা হলে, সেই তথ্য এখানে নেই। এ ছাড়া শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আওয়ামী লীগ নেতাদের অনেকেই আত্মগোপনে চলে গেছেন, আবার কেউ গ্রেপ্তার হয়ে কারাবন্দি। এ কারণে তারা নিজেরা অস্ত্র জমা দিতে না পারলেও মনোনীত প্রতিনিধির মাধ্যমে জমা দেওয়ার সুযোগ ছিল। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকা-১৫ আসনের সাবেক এমপি কামাল আহমেদ মজুমদারের নামে একটি অস্ত্রের লাইসেন্স রয়েছে। তিনি সেটি জমা দেননি। এ ছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদুর রহমান খানের নামে ইস্যুকৃত অস্ত্রটি জমা দেওয়া হয়নি। ইস্যুকৃত দুটি অস্ত্রের একটিও জমা দেননি যাত্রাবাড়ী এলাকার কাউন্সিলর মোস্তাক আহমেদ। 
 
অস্ত্র জমা দেননি শামীম ওসমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা 

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নারায়ণগঞ্জে ৩২১টি অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৫৫টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েনি। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের কাছে আটটি আগ্নেয়াস্ত্র আছে, যা তারা জমা দেননি। সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, তাঁর স্ত্রী তারাব পৌরসভার সদ্য সাবেক মেয়র হাছিনা গাজী, বড় ছেলে গাজী গোলাম মূর্তজা ও ছোট ছেলে গাজী গোলাম আসরিয়াও অস্ত্র জমা দেননি। 

চট্টগ্রাম বিভাগে জমা পড়েনি দুই শতাধিক অস্ত্র

চট্টগ্রাম-৯ আসনের সাবেক এমপি ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের লাইসেন্সকৃত দুটি অস্ত্র আছে। একটি পিস্তুল ও অন্যটি শর্টগান। একটিও জমা দেননি তিনি। ফেনী সদর আসনের এমপি নিজাম উদ্দীন হাজারী ও তাঁর স্ত্রী নুরজাহান বেগমও লাইসেন্স করা শর্টগান ও পিস্তল জমা দেননি। 
শুধু এই মন্ত্রী-এমপিরা নন; চট্টগ্রাম বিভাগের আরও প্রায় এক ডজন প্রভাবশালী সাবেক মন্ত্রী, এমপি ও তাদের সন্তানেরা নির্ধারিত সময়ে অস্ত্র জমা দেননি। 

আওয়ামী লীগ সরকার আমলে চট্টগ্রাম নগর ও জেলায় ৮৪২টি অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়। এর মধ্যে ১৪৬টি অস্ত্র জমা পড়েনি। তবে চট্টগ্রাম বিভাগ হিসাবে আনলে এমন জমা না পড়া অস্ত্রের সংখ্যা হবে প্রায় দুইশ। এর মধ্যে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের আওতাধীন থানায় বিভিন্নজনের নামে ৪৫৪টি অস্ত্রের লাইসেন্স ছিল। এর মধ্যে ৩৬১টি অস্ত্র জমা পড়লেও ৯৩টি জমা পড়েনি। অন্যদিকে চট্টগ্রাম জেলায় ৩৮৮টি লাইসেন্সকৃত অস্ত্রের মধ্যে জমা পড়েছে ৩৩৫টি। ৫৩টি অস্ত্র জমা পড়েনি। 

চট্টগ্রামের বাঁশখালীর সাবেক এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর নামে লাইসেন্সকৃত একটি পিস্তল ও একটি একনলা বন্দুক রয়েছে। পলাতক মোস্তাফিজুর সেগুলো জমা দেননি। একই পথে হেঁটেছেন সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার সাবেক এমপি আবু রেজা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভীও। 

চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনের সাবেক এমপি এসএম আল মামুনের নামে থাকা পিস্তল, চট্টগ্রাম-২ (মিরসরাই) আসনের সাবেক এমপি মাহবুব উর রহমানের পিস্তল ও তাঁর ভাই সাবেদ উর রহমানের পিস্তল, বাঁশখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র সেলিমুল হক চৌধুরীর একনলা বন্দুক ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য সহিদুল ইসলাম শামীমের শটগান জমা দেননি। 

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট একেএম গোলাম মোর্শেদ খান বলেন, সাবেক মন্ত্রী-এমপিসহ অনেক প্রভাবশালী নির্ধারিত সময়ে তাদের অস্ত্র জমা দেননি। এসব এখন অবৈধ অস্ত্র। এসব অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ বাহিনী অভিযান শুরু করেছে।

কুমিল্লা সদর আসনের সাবেক এমপি ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার ও তাঁর বড় মেয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ডা. তাহসীন বাহার সূচনার স্বামী সাইফুল আলম রনি অস্ত্র দুটি জমা দেননি। 

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শিবেন বিশ্বাস বলেন, সাবেক এমপি বাহার ও তাঁর মেয়ের জামাতার নামে ইস্যুকৃত দুটি শটগান গত ৫ আগস্টের ঘটনায় হারানো গেছে বলে তাদের পক্ষ থেকে থানায় জিডি করা হয়েছে। এর সত্যতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

এদিকে নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন কালুও তাঁর নামে ইস্যু করা পিস্তল গত ৫ আগস্ট হারানো গেছে বলে থানায় জিডি করেছেন। 

নোয়াখালীর এমপি একরামুলের শটগান কবরস্থানে

নোয়াখালীতে লাইসেন্সকৃত ৪৬টি অস্ত্রের মধ্যে ৪৫টি জমা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক এমপি মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর একটি শটগান পুলিশ কবিরহাট উপজেলার কালামুন্সি এলাকার একটি কবরস্থান থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। 

ফেনীতে ১০১টি অস্ত্রের মধ্যে ৬টি জমা হয়নি। লক্ষ্মীপুরে লাইসেন্সকৃত ৩৫টি অস্ত্রের মধ্যে জমা পড়েছে ৩৪টি। রাঙামাটিতে জমা পড়েনি ৭টি অস্ত্র। কক্সবাজারে ১০৪টি অস্ত্র জমা পড়েনি।

রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহীতে ১৫২ আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। ১৪৯টি অস্ত্র জমা পড়েছে। 

বগুড়ায় ২৫ অস্ত্র জমা পড়েনি

বগুড়া ব্যুরো জানায়, বগুড়ায় সাবেক তিনজন এমপিসহ ২৫ জন অস্ত্র জমা দেননি। জমাযোগ্য ৩৬৪টি অস্ত্রের মধ্যে জমা পড়েছে ৩৩৯টি। একজনের বাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধার ও মামলা দায়ের করা হয়েছে। যারা অস্ত্র জমা দেননি তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন– বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনের সাবেক এমপি সাহাদারা মান্নান, বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান মজনু, তাঁর ছেলে সারোয়ার হোসেন মিন্টু, একই আসনের সাবেক এমপি হাবিবুর রহমান ও তাঁর ছেলে ধুনট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আসিফ ইকবাল সনি।

বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল কায়েস বলেন, যারা অস্ত্র জমা দেয়নি, তাদের নামে মামলা হবে। এ ছাড়া অনেকেই হয়তো দেশের বিভিন্ন থানায় অস্ত্র জমা দিয়ে থাকতে পারেন। সেগুলো দেখা হচ্ছে।

পলক, শিমুল ও জান্নাতুলের অস্ত্র হারিয়ে গেছে!

নাটোর প্রতিনিধি জানান, নাটোর জেলায় আওয়ামী লীগ আমলের ৯২টি অস্ত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ থাকলেও ৬টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেননি আওয়ামী লীগ নেতারা। তাদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক একটি পিস্তল ও একটি শটগান, নাটোর-২ আসনের সাবেক এমপি শফিকুল ইসলাম শিমুল একটি পিস্তল ও একটি শটগান, সিংড়া পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌসের একটি পিস্তল এবং ব্যবসায়ী আশফাকুল ইসলাম একটি শটগান জমা দেননি। 

নাটোর-৩ আসনের সাবেক এমপি জুনাইদ আহমেদ পলকের অস্ত্র দুটি স্পিকারের কক্ষ থেকে হারানোর দাবি করেছেন তাঁর আইনজীবী ঢাকা জজকোর্টের সাদ্দাম হোসেন। পরবর্তী সময়ে অস্ত্র দুটি উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য ঢাকা জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছেন। সাবেক এমপি শিমুলের অস্ত্র দুটিও হারিয়ে যাওয়ার জিডি করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট থানায়। এ ছাড়া সিংড়া পৌর মেয়রের পিস্তল হারিয়ে যাওয়ার জিডি হয়েছে সিংড়া থানায়।  

হেনরী ও তাঁর স্বামীর অস্ত্র মিলেছে মসজিদের সিঁড়ির নিচে

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি ড. জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী ও তাঁর স্বামী সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শামীম তালুকদার লাবু তাদের লাইসেন্সকৃত দুটি শটগান ও ১৯ রাউন্ড গুলি জমা দেননি। তাদের শটগান ও গুলি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার একটি মসজিদের সিঁড়ির নিচ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। অস্ত্র জমা না দেওয়ায় হেনরী ও তাঁর স্বামী লাবুর বিরুদ্ধে সদর থানায় অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসন এ পর্যন্ত ১১৭টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দিয়েছে। তার মধ্যে জমা পড়েছে ১১৪টি।

রাজবাড়ী-২ আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিল্লুল হাকিমের ছেলে মিতুল হাকিমের দুটি আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েনি। 

বরিশালে ৫ অস্ত্র জমা পড়েনি

বরিশাল ব্যুরো জানায়, বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর ছোট ছেলে আশিক আবদুল্লাহ ও বরিশাল সদর উপজেলার অপসারিত ভাইস চেয়ারম্যান মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিন অস্ত্র জমা দেননি। এ জেলায় ৫টি অস্ত্র জমা পড়েনি। ১৯৭টি অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল।
পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) ইনামুল হক সাগর সমকালকে বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লাইসেন্স স্থগিত হওয়া যেসব অস্ত্র জমা পড়েনি, সেগুলো এখন অবৈধ। এগুলোসহ থানা-ফাঁড়ি থেকে লুণ্ঠিত এবং অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলমান আছে।

আরও পড়ুন

×