বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
হামলায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কমিটি করল ঢাবি

ফাইল ছবি
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২২:৪১ | আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২২:৪৩
কোটা সংস্কার থেকে সরকার পতনে গত ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সংঘটিত সহিংস ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে চার সদস্যের একটি সত্যানুসন্ধান কমিটি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ রোববার রেজিস্ট্রার দপ্তরের তদন্ত শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার শেখ আইয়ূব আলী স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক মুহাম্মদ একরামুল হককে আহ্বায়ক করে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. নাদিয়া নেওয়াজ রিমি, সহকারী প্রক্টর শেহরীন আমিন মোনামীকে সদস্য এবং শেখ আইয়ূব আলীকে কমিটিতে সচিব করা হয়েছে। তাদেরকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
অফিস আদেশে বলা হয়, ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই হতে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ঢাবি ক্যাম্পাসে সংঘটিত সহিংস ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে প্রশাসনিক ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে আসার জন্য মাননীয় উপাচার্য কর্তৃক চার সদস্যের সমন্বয়ে একটি সত্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের হামলার শিকার হন শিক্ষার্থীরা। সেদিন তিন শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। সেদিন রাতে হলে ফিরেও ছাত্রলীগের মারধরের শিকার হন অনেক শিক্ষার্থী। এরপর ১৭ জুলাই গায়েবানা জানাজা করতে গিয়ে পুলিশের হামলায় আহত হয়ে হল ছাড়েন শিক্ষার্থীরা। এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় সেদিন অনির্দিষ্টকালের জন্য হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
এ দিকে ১৫ জুলাই শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় সেদিনই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বয়কট করেন তাদের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সহপাঠী শিক্ষার্থীরা। পরেরদিন ১৬ জুলাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হল থেকে বের করে দেওয়া হয়। ৫ আগস্ট হল খোলার পর থেকে ছাত্রলীগের হামলায় জড়িত কেউ হলে উঠতে পারেননি। তাদেরকে ক্লাসেও বয়কট করেছে তার সহপাঠীরা। হলভেদে শিক্ষার্থীরা ১৫ জুলাই হামলায় জড়িতদের তালিকাও করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হবে বলে জানান শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া গণহত্যায় সমর্থন দেওয়া এবং শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় তাদেরকে বহিষ্কারের দাবি জানানো হয়েছিল শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে। তবে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে পদত্যাগ করা ছাত্রলীগ নেতাদের ক্লাস করা বা হলে থাকায় কোনো সমস্যা হচ্ছে না।