একশনএইড বাংলাদেশের সমীক্ষা
জীবাশ্ম জ্বালানি ও বাণিজ্যিক কৃষিতে বছরে ভর্তুকি ৬৭৭ বিলিয়ন ডলার

ছবি: সংগৃহীত
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২৪ | ০৮:৪৯
জীবাশ্ম জ্বালানি প্রতিষ্ঠান ও বাণিজ্যিক কৃষি খাতে প্রতিবছর প্রায় ৬৭৭ বিলিয়ন ডলার ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে, যা গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের মাত্রা বাড়িয়ে তুলছে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংসে ভূমিকা রাখছে, এমন অনেক ব্যবসা সরকারি পর্যায়ে ভর্তুকি পাচ্ছে। উন্নত দেশগুলো জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়নের মাধ্যমে জলবায়ু সংকট সৃষ্টি করছে বলে এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে।
গতকাল সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে একশনএইড বাংলাদেশ তাদের পরিচালিত ‘হাউ দ্য ফাইন্যান্স ফ্লো’ শীর্ষক সমীক্ষার ফল প্রকাশ করে। এ সময় জলবায়ু বিপর্যয় প্রতিরোধবিষয়ক ক্যাম্পেইন ‘ফান্ড আওয়ার ফিউচার’ উন্মোচন করা হয়। সমীক্ষায় বৈশ্বিক দক্ষিণের জনগণের টাকা কীভাবে জলবায়ু ধ্বংসের পেছনে খরচ হচ্ছে এবং এই অর্থ দিয়ে কীভাবে জীবাশ্ম জ্বালানি ও বাণিজ্যিক কৃষি খাতগুলো লাভবান হচ্ছে, সেসব চিত্র উঠে এসেছে।
একশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির বলেন, এ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, কীভাবে জীবাশ্ম জ্বালানি এবং বাণিজ্যিক কৃষি প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের জলবায়ু সংকটের মূল চালক হিসেবে কাজ করছে। আমাদের লক্ষ্য নির্ধারণ, জবাবদিহি ও পর্যবেক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে।
সমীক্ষার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক আহমেদ জুবায়ের, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবিলিটি ফাইন্যান্স বিভাগের সাবেক পরিচালক মোর্শেদ মিল্লাত, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব আনোয়ার ফারুক, জার্মান দূতাবাসের হেড অব জার্মান ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন কাউন্সেলর ফ্লোরিয়ান হেলেন, ব্র্যাক ব্যাংকের চিফ অপারেটিং অফিসার সাব্বির হোসেন, একশনএইড ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সোসাইটির চেয়ারপারসন ইব্রাহিম খলিল আল জায়াদ।
- বিষয় :
- বৈশ্বিক উষ্ণতা
- বাংলাদেশ