ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

কুয়েত এয়ারওয়েজ উড়োজাহাজের দরজা ভাঙায় তদন্ত কমিটি

কুয়েত এয়ারওয়েজ উড়োজাহাজের দরজা ভাঙায় তদন্ত কমিটি

গত ৫ নভেম্বর শাহজালাল বিমানবন্দরে কুয়েত এয়ারওয়েজের উড়োজাহাজের দরজা ভেঙে পড়ে। ছবি: সংগৃহীত

শহিদুল আলম

প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২৪ | ২০:৪৬ | আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২৪ | ২২:২৭

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কুয়েত এয়ারওয়েজের বোয়িং ৭৭৭-৩০০ মডেলের উড়োজাহাজের দরজা ভেঙে পড়েছে। গত মঙ্গলবার রাত ২টা ২০মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। উড়োজাহাজটি পৌনে ৩টায় ২৮৪ যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে কুয়েত যাওয়ার কথা ছিল। এ ঘটনায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, কুয়েত এয়ারওয়েজের কেইউ-২৮৩ ফ্লাইটটি রাত দেড়টায় কুয়েত থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকায় আসে। যাত্রীরা ফ্লাইট থেকে নামার পরপরই দরজা ভেঙে যায়। এ সময় উড়োজাহাজের ভেতরে কেবল পাইলট ও কেবিন ক্রু ছিলেন। ওই ফ্লাইটের ক্যাপ্টেন ছিলেন কুয়েতের নাগরিক আজবালি মোহাম্মদ।

সাধারণত উড়োজাহাজে যখন যাত্রী বা লোড থাকে, তখন এটি কিছুটা নিচে দেবে যায়। যাত্রী নামার পর উড়োজাহাজের লোড কমে গেলে উপরে উঠে। তবে এ উড়োজাহাজের ক্ষেত্রে বোর্ডিং ব্রিজ তখন নিচেই ছিল। ফলে ব্রিজের সঙ্গে লেগে দরজাটি ভেঙে যায়। 

এ ঘটনায় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সদস্য (পরিচালনা ও পরিকল্পনা) এয়ার কমোডর আবু সাঈদ মাহবুব খানকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. কামরুল ইসলাম সমকালকে বলেন, বিমানবন্দরে ৬ নম্বর বোর্ডিং ব্রিজে কুয়েত এয়ারওয়েজের দরজা ভাঙার ঘটনা ঘটে। এতে যাত্রীদের কেউ হতাহত হননি। ফ্লাইটে ৩০০ জন যাত্রী ছিলেন। তারা নামার পর উড়োজাহাজে দরজা ভেঙে পড়ে। এ নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন পেলে ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে। 

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, ৬ নম্বর বোর্ডিং ব্রিজের অটোলেভেল সুইচ নষ্ট ছিল। এ অবস্থায় পরিচালনার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে।
 
দরজা ভেঙে পড়ার খবরে গত বুধবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া। পরে তিনি সমকালকে বলেন, কুয়েত এয়ারওয়েজের প্রকৌশলীরা ঢাকায় এসে উড়োজাহাজটি মেরামত করবেন।

দরজা ভেঙে যাওয়ার কারণে কুয়েতগামী যাত্রীরা বিমানবন্দরের ওয়েটিং লাউঞ্জে অবস্থান করেন। পরে তাদের এয়ারপোর্ট থেকে হোটেল পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। সেখান থেকে কুয়েত এয়ারওয়েজ যাত্রীদের নিজ নিজ গন্তব্যে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।
 

আরও পড়ুন

×