সোনাদিয়া দ্বীপে বেজার ইকো-ট্যুরিজম পার্কের কার্যক্রম স্থগিত

সোনাদিয়া দ্বীপ- সংগৃহীত ছবি
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০২৪ | ১৬:২৮ | আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৪ | ১৭:০০
কক্সবাজারের মহেশখালীর সোনাদিয়া দ্বীপে ইকো-ট্যুরিজম পার্ক গড়ে তোলার শর্তে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) অনুকূলে দেওয়া ৯ হাজার ৪৬৭ একর জমির বরাদ্দ সংক্রান্ত চুক্তির কার্যকারিতা ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি পার্ক উন্নয়নের কার্যক্রমও স্থগিত করা হয়েছে।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরী সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার রুল জারিসহ এই আদেশ দেন। এছাড়া বরাদ্দকৃত ওই জমিতে গাছকাটাসহ অন্যান্য বিষয়ে পরিবেশের যাবতীয় ক্ষতি নিরূপন করে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করতেও পরিবেশ সচিব, প্রধান বন সংরক্ষক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরী সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার রুল জারিসহ এই আদেশ দেন।
রুলে সোনাদিয়া দ্বীপে ইকো-ট্যুরিজম পার্ক গড়ে তোলার শর্তে বেজাকে দেওয়া ৯ হাজার ৪৬৭ একর জমির বরাদ্দ কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। পরিবেশ সচিব, বেজা, কক্সবাজার জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে হবে।
জানা গেছে, সোনাদিয়া ইকো-ট্যুরিজম পার্ক মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়া, বিজয় একাত্তর ও সমুদ্র বিলাস মৌজায় অবস্থিত। মোট জমির পরিমাণ ৯ হাজার ৪৬৭ একর। বিদেশি পর্যটক আকর্ষণে বেজা টেকনাফ ও মহেশখালী উপজেলায় মোট ১১ হাজার একর জমি নিয়ে তিনটি পর্যটন পার্কের উন্নয়ন কাজ শুরু করে ২০১৬ সালে। এর মধ্যে ৯৬৭ একর জমিতে সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক, ২৭১ একর জমিতে নাফ ট্যুরিজম পার্ক ও ৯ হাজার ৪৬৭ একর জমিতে সোনাদিয়া ইকো ট্যুরিজম পার্ক তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়। এর মধ্যে মাত্র ১ হাজার ১ টাকা সেলামিতে সোনাদিয়া ইকো ট্যুরিজম পার্ক তৈরির জন্য বেজাকে ২০১৭ সালে ওই জমি বরাদ্দ দেয় জেলা প্রশাসন। বরাদ্দের শর্তে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-১৯৯৫ অনুযায়ী এ দ্বীপের পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে এমন কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় পার্ক উন্নয়নের কার্যক্রমও গ্রহণ করে বেজা। এরইমধ্যে গত ২৮ অক্টোবর সোনাদিয়ায় ইকো ট্যুরিজম পার্ক তৈরির কার্যক্রম চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)। মঙ্গলবার ওই রিটের শুনানি নিয়ে রলসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট।
আদালতে বেলার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস হাসানুল বান্না। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন।
আদেশের পর হাসানুল বান্না সমকালকে বলেন, সোনাদিয়ায় দ্বীপটি ইকোলজিক্যাল এলাকা। আর বেজা সেখানে পর্যটনের নামে অর্থনৈতিক জোন করতে চায়। বেশকিছু গাছপালা কাটা হয়েছে। বিষয়টি নজরে আসার পর গত অক্টোবরে এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিটটি করা হয়। হাইকোর্ট রিটের শুনানি নিয়ে জমির বরাদ্দ কার্যকারিতা ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন।