পিআরআইর কর্মশালায় গভর্নর
বিদেশে চিকিৎসায় বছরে বাংলাদেশিদের ব্যয় ৫ বিলিয়ন ডলার

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। ফাইল ছবি
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | ০৫:০৯ | আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | ০৬:০৮
বিদেশে চিকিৎসার পেছনে বাংলাদেশিরা বছরে ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি খরচ করেন। এর বড় অংশই অনানুষ্ঠিকভাবে। ভ্রমণ ভিসায় বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করান। এ খরচ বৈদেশিক লেনদেন ভারসাম্যের ওপর চাপ তৈরি করে। গতকাল রোববার রাজধানীর গুলশানের হোটেল আমারিতে এক কর্মশালায় এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআরআই) ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে ‘ক্রস বর্ডার ডাটা ফ্লো: বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এ কর্মশালা হয়। বিবিআইএনএস তথা বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান বিষয়ে কর্মশালায় আলোচনা হয়।
পিআরআইর চেয়ারম্যান ড. জায়েদি সাত্তারের পরিচালনায় এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্বব্যাংকের ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট নিধি পারেখ। প্রবন্ধের বাংলাদেশ অংশ তুলে ধরেন পিআরআইর প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. আশিকুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় গভর্নর বলেন, স্বাস্থ্য খাতে তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে অনেক কিছু করার আছে। বড় আকারে তথ্য ভান্ডার না থাকায় আমরা এ বিষয়ে গবেষণাও করতে পারছি না। বিদেশে অনানুষ্ঠানিক চিকিৎসা ব্যয়-সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে একটি আইনি কাঠামো গড়ে তোলা দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ড. মনসুর বলেন, পৃথিবীর সব দেশ এখন তথ্য ভান্ডারকে অনেক গুরুত্ব দিচ্ছে। কয়লা বা তেল খনি থেকেও তথ্যের খনি অনেক বড়। বাংলাদেশে ১৭ কোটি মানুষ। এখানে অনেক তথ্য ভান্ডার তৈরি হচ্ছে। আমাদের মোবাইল সিস্টেম থেকে হচ্ছে, ক্ষুদ্র-মাঝারি খাত থেকে হচ্ছে, ট্যুরিজম খাত থেকে হচ্ছে। তবে সেটি ব্যবহার করা হচ্ছে না। ফলে এর কোনো মূল্য পাওয়া যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, আমরা যদি তথ্য ভান্ডার, ডাটা মাইনিংসহ এসব ক্ষেত্র উন্নত করতে পারি, তাহলে অনেক বেশি উন্নতি সম্ভব হবে। এ জন্য দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আইনি কাঠামো তৈরি ও আচরণগত পরিবর্তন আনতে হবে।
গভর্নর আরও বলেন, ব্যাংকের তথ্যের ক্ষেত্রেও সরকারিভাবে তিনটি ফ্যাসিলিটি রাখার কথা বলা হয়। কিন্তু ডাটা সেন্টার, রিকভারি সেন্টার ও ডিজাস্টার রিকভারি সেন্টার ব্যাংকের পক্ষে ব্যবস্থাপনা করা অনেক কঠিন। এখানে সম্মিলিত ও আইনগতভাবে কাজ করা যেতে পারে। বিশেষ করে ছোট এবং মাঝারি আকারের ব্যাংকগুলো একসঙ্গে কাজ করতে পারে।
ড. জায়েদি সাত্তার বলেন, তথ্য আদান-প্রদানে সবচেয়ে কম সংযুক্ত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো। রাজনৈতিক সীমানা অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিজেদের মধ্যে অর্থনৈতিক কার্যক্রম বাড়ানোর আরও সুযোগ রয়েছে। ডিজিটাল বিশ্বে যা আরও বেশি বাস্তব।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন পিআরআইর গবেষণা পরিচালক বজলুল হক খন্দকার, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের উপপরিচালক মহিবুল ইসলাম, ব্র্যাক ব্যাংকের ডিএমডি সাব্বির হোসেন প্রমুখ।
- বিষয় :
- গভর্নর
- চিকিৎসা
- বিদেশে চিকিৎসা
- ভিসা