‘অস্ত্র’ হাতে বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল, যা জানা গেল

সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া যশোরের মাদ্রাসার অনুষ্ঠানের একটি ছবি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৯:৪১
যশোর জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার একটি ভিডিও নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সৃষ্টি হয় আলোচনা। ভিডিওতে দেখা যায়, তিনজনের মধ্যে দুজনের মুখমণ্ডল কালো কাপড়ে ও আরেকজনের মুখ সাদা কাপড়ে ঢাকা। কালো কাপড়ে যাদের মুখ ঢাকা তাদের হাতে অস্ত্র। আর সাদা কাপড় দিয়ে মুখ ঢাকা ব্যক্তিকে আরবিতে কিছু বলতে শোনা যায়।
বুধবার রাতে এই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর এটি সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদ-বিশ্লেষক অনেকের প্রোফাইল থেকে শেয়ার হয়। বাংলাদেশ ও ভারতের গণমাধ্যমেও এ নিয়ে বেশ আলোচনা তৈরি হয়েছে।
এ বিষয়ে ওই মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মুফতি লুৎফুর রহমান ফারুকী বলেন, ইসরায়েলিরা ফিলিস্তিনের ওপর যে হামলা করেছে তার প্রতিবাদ করার জন্য এটি করেছে। কিন্তু এটাকে একটি গোষ্ঠী বা সম্প্রদায় ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার জন্য এটি করেছে।
ভিডিওতে আরবিতে যে বক্তব্য শোনা গিয়েছে তাতে কী বলা হয়েছে, জানতে চাইলে ইসলামিক ফাউন্ডেশন হালাল সনদ বিভাগের উপপরিচালক ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী বলেন, সেখানে ফিলিস্তিন ও বায়তুল মুকাদ্দাসে মুসলমানদের ওপর চলমান অত্যাচারের কথা বলা হয়েছে। জিহাদ সংক্রান্ত কথাও বলা হয়েছে।
যশোর জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) জিয়া উদ্দিন আহমেদ জানান, গত ১৭ ডিসেম্বর ওই মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে একটি বার্ষিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানে অনেক ধরনের পর্ব ছিল। সেরকম-ই একটি ইভেন্ট হলো ‘যেমন খুশি তেমন সাজো।’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে যে তিনজনকে দেখা গিয়েছে, তারা ওই মাদ্রাসারই শিক্ষার্থী।
তিনি বলেন, তারা ফিলিস্তিনের মুক্তির সংগ্রামকে উপস্থাপন করতে চেয়েছে। এটা বাচ্চারা করেছে। কোনোকিছু না বুঝে তারা এটি করে ফেলেছে। আর সেখানকার যারা আয়োজক তারাও বিষয়টি বুঝে উঠতে পারে নাই।
জিয়া উদ্দিন আরও বলেন, কেউ বিভ্রান্তির জন্য বুধবার রাতে অনুষ্ঠানের একটি ক্লিপ ছড়িয়ে দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা শুরু হলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তারা জানতে পেরেছেন, ভিডিওতে যে অস্ত্র দেখা গিয়েছে তা মূলত কাঠ ও শোলা দিয়ে তেরি ‘অস্ত্রসদৃশ একটি বিষয়’। তাদের ভেস্টও ছিল নকল। খবর বিবিসি বাংলার।