জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি ও ভিসি কোটা বাতিল

ফাইল ছবি
জাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ০৩:২১
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন্ন ভর্তি পরীক্ষায় আবেদন ফি কমানো, ভিসি কোটা বাতিল, পোষ্য কোটার যৌক্তিক সংস্কার ও অভিন্ন প্রশ্নপত্রে ভর্তি পরীক্ষা চালুসহ চার দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে ‘গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলন’-এর ব্যানারে এ মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। এ আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি ও উপাচার্য (ভিসি) কোটা বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্য সচিব ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) সৈয়দ মোহাম্মদ আলী রেজা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি ও ভিসি কোটা চূড়ান্তভাবে বাতিল করা হয়েছে।
এর আগে মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জুবায়ের শাবাবের সঞ্চালনায় নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষার্থী শোয়াইব হাসান বলেন, পোষ্য কোটার যেন যৌক্তিক সংস্কার করা হয়। সে ক্ষেত্রে নবম গ্রেড অথবা তার অধিক পদমর্যাদার কোনো শিক্ষক কিংবা কর্মকর্তা এ সুবিধা নিতে পারবেন না। যেহেতু তারা সমাজের কোনো অনগ্রসর অংশ নন, সুতরাং তাদের এ রকম একটি অতিরিক্ত সুবিধা গ্রহণ করা বৈষম্যবিরোধী যে চেতনা, তার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আমরা একই সঙ্গে বলেছি, পোষ্য কোটার ক্ষেত্রে যেন ন্যূনতম একটা স্ট্যান্ডার্ড কাট মার্ক রাখা হয়। সেই কাট মার্কটা যথাযথভাবে অনুসরণ করেই যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়।
গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে যে অনিয়ম, দুর্নীতি হতো, সেগুলোর ব্যাপারে গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলন বরাবরই সোচ্চার। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৪ নভেম্বর থেকে বেশ কয়েকটি দাবি নিয়ে আন্দোলন করে আসছি।
পিছিয়েছে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন, কমেছে ইউনিট
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক সম্মান প্রথম বর্ষের (২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে) ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের তারিখ পেছানো হয়েছে। পূর্ব ঘোষিত ১ জানুয়ারির পরিবর্তে ৩ জানুয়ারি থেকে আবেদন শুরু হবে। কমেছে ভর্তি পরীক্ষার ইউনিটও। ১০ ইউনিটের পরিবর্তে সাত ইউনিটে হবে পরীক্ষা। বৃদ্ধি পেয়েছে পাস মার্ক। ৩৩ শতাংশের পরিবর্তে পাস মার্কের জন্য ৩৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সৈয়দ মোহাম্মদ আলী রেজা বলেন, ১০ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে ৭ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে সমাজবিজ্ঞান অনুষদ (বি ইউনিট) ও জীববিজ্ঞান অনুষদ (ডি ইউনিট) অপরিবর্তিত রয়েছে।
- বিষয় :
- জাবি
- ভর্তি পরীক্ষা
- কোটা