হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
তারেক রহমানের নামে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার আইনি ভিত্তি নেই

ফাইল ছবি
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২০:৫৭
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও একুশে টেলিভিশনের চেয়ারম্যান আবদুস সালামসহ চারজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, মামলাটি আইনের যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করে শুরু করা হয়নি। অপর দুই আসামি হলেন একুশে টেলিভিশনের সাবেক প্রধান প্রতিবেদক মাহাথীর ফারুকী খান ও চ্যানেলটির জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক কনক সারওয়ার।
রায়ে বলা হয়েছে, ‘এই মামলায় এফআইআরকে অভিযোগ হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে বলা যায়, এই ফৌজদারি মামলাটি আইনের যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করে শুরু করা হয়নি। তার পরও মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে, যা আদালতের বিচারিক প্রক্রিয়ার অপব্যবহার ছাড়া কিছুই না। ফলে মামলাটিতে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে তা বাতিল করা হলো।’
বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেন সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের এই রায় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। এর আগে গত ৩১ অক্টোবর রুল নিষ্পত্তি করে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাটি বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট।
২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি লন্ডন থেকে তারেক রহমানের দেওয়া বক্তব্য সরাসরি সম্প্রচার করে একুশে টিভি। এ ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে ওই বছরের ৮ জানুয়ারি তারেক রহমান ও আবদুস সালামের বিরুদ্ধে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় মামলা করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে যোগসাজশে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়। তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
এতে তারেক রহমান, আব্দুস সালামের পাশাপাশি মাহাথীর ফারুকী খান ও কনক সারওয়ারকে আসামি করা হয়। একই বছর আবদুস সালামের আবেদনে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি মামলাটি কেন বাতিল করা হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি হয়।
বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করতে যেসব আইনি উপাদান লাগে, এ মামলায় তেমন কোনো উপাদান ছিল না। রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করতে হয় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। আর এ মামলা হয় থানায়। ফলে আইনগতভাবে এ মামলা চলে না।
- বিষয় :
- তারেক রহমান
- হাইকোর্ট
- রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা