আইএআরসির গবেষণায় তথ্য
বায়ুদূষণে বাড়ছে অধূমপায়ীদের মধ্যে ফুসফুসের ক্যান্সার

ঢাকার রাস্তায় ধুলাবালুর শেষ নেই। সঙ্গে রয়েছে যানবাহনের কালো ধোঁয়া। সব মিলিয়ে প্রায় দিনই থাকে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে। রাজধানীর শ্যামলী এলাকা থেকে তোলা- সমকাল
সমকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ০১:০৫ | আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ০৭:৫৯
ধূমপানকে ফুসফুসের ক্যান্সারের প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বায়ুদূষণের কারণে বর্তমানে অধূমপায়ীদের মধ্যেও ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বায়দূষণের কারণে নারী-শিশুসহ অনেক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার (আইএআরসি) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। বিশ্ব ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে ল্যানসেট রেসপিরেটরি মেডিসিন জার্নালে প্রতিবেদনটি প্রকাশ হয়।
এতে বলা হয়, ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্তদের মধ্যে অধূমপায়ীর অনুপাত বাড়ছে। বায়ুদূষণ এর গুরুত্বপূর্ণ কারণ। অবস্থা এমনই যে ফুসফুসের ক্যান্সার এখন বৈশ্বিকভাবে এই ঘাতক ব্যাধিতে মৃত্যুর পঞ্চম প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। ২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত অন্তত ২৫ লাখ মানুষ চিহ্নিত হয়েছে। এর মধ্যে লক্ষণীয় হলো, যারা কখনোই ধূমপান করেননি, এমন ব্যক্তিদের মধ্যেও ফুসফুসের ক্যান্সার দেখা যাচ্ছে। এটি বিশ্বব্যাপী রোগটির চারটি প্রধান উপধরনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত হয়ে উঠেছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, বায়ুদূষণের কারণে ফুসফুসের ক্যান্সারের বিশেষ ধরন অ্যাডেনোকার্সিনোমার সবচেয়ে বেশি প্রভাব দেখা যাচ্ছে পূর্ব এশিয়ায়, বিশেষ করে চীনে। দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গবেষণার প্রতিবেদনটির প্রধান লেখক ও আইএআরসির ক্যান্সার নজরদারি শাখার প্রধান ড. ফ্রেডি ব্রে বলেন, এই গবেষণার ফলাফল ফুসফুসের ক্যান্সারের পরিবর্তিত ঝুঁকির বিষয়টির প্রতি নজরদারির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে ধূমপানের হার কমেছে। তারপরও সেখানে অধূমপায়ী ব্যক্তিদের মধ্যে ফুসফুসের ক্যান্সার শনাক্ত হওয়ার অনুপাত বাড়ছে।
আইএআরসি বলছে, ফুসফুসের ক্যান্সারের চার প্রধান ধরন অ্যাডেনোকার্সিনোমা, স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমা, স্মল-সেল কার্সিনোমা ও লার্জ-সেল কার্সিনোমার মধ্যে অ্যাডেনোকার্সিনোমা পুরুষ ও নারী উভয়ের মধ্যেই সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হচ্ছে। ২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী পুরুষদের মধ্যে ৪৫ দশমিক ৬ শতাংশ এবং নারীদের মধ্যে ৫৯ দশমিক ৭ শতাংশ ফুসফুসের ক্যান্সার ছিল অ্যাডেনোকার্সিনোমা। ২০২০ সালে এই হার ছিল যথাক্রমে ৩৯ দশমিক শূন্য শতাংশ ও ৫৭ দশমিক ১ শতাংশ। আবার অধূমপায়ী ব্যক্তিদের মধ্যে ফুসফুসের ক্যান্সারের ৭০ শতাংশই পাওয়া যাচ্ছে অ্যাডেনোকার্সিনোমা, যা বায়ুদূষণের সঙ্গে সম্পর্কিত।
- বিষয় :
- বায়ুদূষণে শীর্ষে ঢাকা