লিবিয়ায় নির্যাতনের শিকার হৃদয় ইতালির পথে মারা যান

প্রতীকী ছবি
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ০২:৫৮
সম্প্রতি মানব পাচার চক্রের ফাঁদে পড়ে অবৈধ পথে ইতালি যাওয়ার পথে মারা যান মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার বাসিন্দা হৃদয় হাওলাদার। পাচারের ঘটনায় স্বজনের করা মামলায় মঙ্গলবার রাজধানীর ভাটারা ও ঢাকার দোহার থেকে মানব পাচার চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
তারা হলেন লিপন মাতুব্বর ও আনোয়ার ওরফে আনো মাতুব্বর। লিপন রাজৈর থানায় মিন্টু হাওলাদারের করা মামলার ও আনো মাতুব্বর ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানায় নাজমিন বেগমের করা মামলার প্রধান আসামি। আজ বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে তোলা হবে।
এ বিষয়ে গতকাল বুধবার ঢাকার কেরানীগঞ্জ র্যাব-১০ এর সদরদপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করেন অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, লিপনের ভাই তপন ওরফে মাসুদ মাতুব্বর লিবিয়া প্রবাসী। ভাইয়ের মাধ্যমে লিপন অবৈধ পথে লিবিয়া হয়ে ইতালিতে লোক পাঠাতেন। সে জনপ্রতি ১৬ লাখ টাকা নিতেন। তাঁর কাজ ছিল ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে আরেকটি চক্রের কাছে ভুক্তভোগীদের পৌঁছে দেওয়া। লিবিয়ায় আটক রেখে অমানবিক নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করে মুক্তিপণ আদায় করা হতো। টাকা পাওয়ার পর তাদের ভূমধ্যসাগরে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় তুলে দিতেন লিবিয়ায় থাকা লিপনের সহযোগীরা। লিপন গত ৩ থেকে ৪ মাসে ৬-৭ জনকে ইতালি পাঠানোর উদ্দেশে লিবিয়াতে পাঠিয়েছেন।
র্যাব জানায়, হৃদয় হাওলাদার (মৃত্যু হয়েছে) ও আনো মাতুব্বর একই এলাকার বাসিন্দা। হৃদয়কে উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে তিনি সাড়ে ১৬ লাখ টাকা চুক্তিতে গত বছরের ২৭ নভেম্বর ইতালিতে পাঠানোর কথা বলে লিবিয়ায় পাঠান।
হৃদয়কে লিবিয়ায় আটকে রেখে নির্যাতন করে ১৫ লাখ টাকা আদায় করেন আনো মাতুব্বর। এর পর চক্রটি আরও ১০ লাখ টাকা নেয়। মৃত্যুর আগে হৃদয় পরিবারকে জানান, তাঁকে ইতালি পাঠানোর উদ্দেশে লিবিয়ার সাগরপারে নেওয়া হয়েছে। পরে হৃদয়ের লাশের ছবি শনাক্ত করেন স্বজনরা।
- বিষয় :
- মানব পাচার