ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

সেই কয়লার জাহাজ নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতা কাটেনি দেড় মাসেও

সেই কয়লার জাহাজ নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতা কাটেনি দেড় মাসেও

ফাইল ছবি

 সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৫ | ০১:২৩ | আপডেট: ০৯ মে ২০২৫ | ১০:৫৮

মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আনা কয়লার গুণগত মান নিয়ে বিতর্কে দেড় মাস ধরে বহির্নোঙরে আটকে আছে কয়লাবোঝাই একটি জাহাজ। জাহাজের কয়লার কী হবে– এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি (সিপিজিসিবিএল)। 

সূত্র জানিয়েছে, সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী এমভি ওরিয়েন্ট অর্কিড জাহাজটি গত ১৭ মার্চ মাতারবাড়ী চ্যানেলে প্রবেশ করে। ওই জাহাজে আমদানি করা ৬৩ হাজার টন কয়লার মধ্যে ২২ হাজার ৩৫০ টন কয়লা খালাস করা হয়। এক পর্যায়ে কয়লার মান নিয়ে প্রশ্নে আপত্তি উঠলে খালাস বন্ধ করে জাহাজটিকে বহির্নোঙরে পাঠানো হয়। পরে সিপিজিসিবিএল চালানটি গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়। সেই থেকে কয়লাবোঝাই জাহাজটি বহির্নোঙরে অবস্থান করছে। কয়লা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তৃতীয় পক্ষের ল্যাব পরীক্ষায় গুণগত মান যাচাইয়ের জন্য সিপিজিসিবিএলের কাছে দাবি জানিয়েছে। এত দিনেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি কোল পাওয়ার। প্রতিদিন বাড়ছে জাহাজের জরিমানা। ইতোমধ্যে ১ মিলিয়ন ডলারের মতো জরিমানা হয়েছে বলে জানা গেছে। 
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, ভবিষ্যতে আইনি জটিলতা এড়ানোর জন্য তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে পরীক্ষা করে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া উচিত। সিপিজিসিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্বে) নাজমুল 

হক এ বিষয়ে সমকালকে জানান, ওই কয়লাবোঝাই জাহাজ বিষয়ে কোম্পানির বোর্ড ও বিদ্যুৎ বিভাগ সিদ্ধান্ত নেবে। বিষয়টি এখন মন্ত্রণালয় নির্ধারণ করবে। এ বিষয়ে বিদ্যুৎ সচিব ফারজানা মমতাজের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ কার হলে সাড়া মেলেনি।

মাতারবাড়ী কেন্দ্রের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা সংগ্রহের কাজ পায় বাংলাদেশের মেঘনা গ্রুপের কোম্পানি ইউনিক সিমেন্ট এবং ভারতের আদিত্য বিড়লা গ্লোবাল ট্রেডিং (সিঙ্গাপুরে নিবন্ধিত) কনসোর্টিয়াম। প্রায় ৬৩  হাজার টন কয়লা নিয়ে এমভি ওরিয়েন্ট অর্কিড নামের জাহাজ গত ১৭ মার্চ মাতারবাড়ী চ্যানেলে প্রবেশ করে। ২১ মার্চ পর্যন্ত ২২ হাজার ৩৫০ টন কয়লা নামানো হয়। কয়লা খালাসের সময় কনভেয়ার বেল্ট বারবার বিকল হচ্ছিল। বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকৌশলীরা কয়লা যাচাই করে দেখেন, নিম্নমানের কয়লা আনা হয়েছে। কয়লার সঙ্গে প্রচুর মাটি মিশ্রিত রয়েছে। পরে খালাস বন্ধ করে দিয়ে ৪০ হাজার ৬৫০ টন কয়লাসহ জাহাজটি বহির্নোঙরে পাঠানো হয়। বিষয়টি তদন্তের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে।

 

আরও পড়ুন

×