রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের নতুন পরিচালক ড. কবীর হোসেন

ড. মো. কবীর হোসেন
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৫ | ২২:২৮ | আপডেট: ২৬ মে ২০২৫ | ২২:৫১
পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক পদে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. কবীর হোসেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এ এস এম মোসা সাক্ষরিত রোববার এক অফিস আদেশে তাঁকে এ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি বর্তমান প্রকল্প পরিচালক জাহেদুল হাছানের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
এতে বলা হয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সংস্থা বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ’ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. কবীর হোসেনকে নিয়োগ করা হলো। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
ড. মো. কবীর হোসেন ১৯৭৫ সালের ১২ জুন বরগুনার বামনা উপজেলার গোলাঘাটা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৯৯৬ সালে বিএসসি (সম্মান) এবং ১৯৯৭ সালে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে জাপানের কিউশু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০৯ সালে নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
ড. কবীর ২০০০ সালের ১৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে যোগ দেন। বর্তমানে প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি ২০২৪-২০২৫ সালে উপ-প্রকল্প পরিচালক এবং ২০১৯-২০২৪ সালে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, যেখানে তিনি মানবসম্পদ উন্নয়ন, আইএইএ এবং রাশান ফেডারেশনের সঙ্গে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সমন্বয় এবং প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ের নকশা ও বাস্তবায়নে অবদান রেখেছেন। এছাড়া, তিনি আইএইএ, জাপান এটমিক এনার্জি রিসার্চ ইনস্টিটিউট, রাশিয়ার ওবনিনস্কের সিআইসিইটি এবং আরসিএ আয়োজিত আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ, ওয়ার্কশপ এবং মিশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন। প্রকল্প বাস্তবায়ন ও পরমাণু অবকাঠামো উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন তিনি।
পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুর গ্রামে রাশান ফেডারেশনের কারিগরি সহায়তায় সর্বাধুনিক ৩ প্লাস জেনারেশনের ভিভিইআর-১২০০ প্রযুক্তির রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিটের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। নির্মাণ কাজ শেষ হলে ইউনিট দুটি থেকে সর্বমোট ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।