অনড় পল্লী বিদ্যুতের কর্মীরা, গ্রামে গ্রাহকের ভোগান্তি

অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন, চেয়ারম্যানের অপসারণসহ সাত দাবিতে গত ১৫ দিন ধরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আন্দোলন করে আসছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বুধবারও তারা অবস্থান কর্মসূচি থেকে দাবি-সংক্রান্ত নানা স্লোগান দেন। ছবি: ফোকাস বাংলা
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫ | ০৩:০৯
অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন, চেয়ারম্যানের অপসারণসহ সাত দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। গতকাল বুধবার ১৫তম দিনের মতো তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান করছেন। গতকাল সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি দেখা গেছে।
এদিকে দেশের অধিকাংশ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মীদের একাংশ কর্মবিরতিতে থাকায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থায় ব্যাঘাত ঘটছে। বিদ্যুৎহীন রয়েছে অনেক এলাকা। সেবাবঞ্চিত হচ্ছে অন্তত দেড় কোটি গ্রাহক। কয়েকটি স্থানে বিদ্যুৎ অফিসে গ্রাহকদের হামলার ঘটনা ঘটেছে।
পবিস কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, গ্রামাঞ্চলসহ দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিতরণ করছে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)। দেশের ৪ কোটি ৮২ লাখ বিদ্যুৎ গ্রাহকের মধ্যে আরইবির গ্রাহক ৩ কোটি ৬৮ লাখ। দেশজুড়ে সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ৪৫ হাজার। আরইবি ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি একীভূতকরণ ও অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন, চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের স্থায়ী নিয়োগসহ নানা দাবিতে গত জানুয়ারি থেকে আন্দোলন করছেন সমিতির কর্মীরা। এই ধারাবাহিকতায় গত ২১ মে থেকে শহীদ মিনারে অবস্থান করছেন কয়েক হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী। আন্দোলনে গত কয়েক দিনে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন সংহতি জানিয়েছে।
সরকার দাবি না মানায় ২৭ মে থেকে আংশিক কর্মবিরতি পালন করছেন সমিতির কর্মীরা। মঙ্গলবার থেকে তা জোরদার হয়। অনেক সমিতির লাইনম্যান কর্মস্থল ছেড়ে গণছুটিতে গেছেন। সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক বুধবার আরইবির পরিচালক (পবিস মনিটরিং ও ব্যবস্থাপনা) বরাবর একটি পত্রে জানান, সুনামগঞ্জ পবিসের লাইনক্রুরা বুধবার সকাল ৯টায় অভিযোগ কেন্দ্র ও উপকেন্দ্রের মোবাইল ফোন জমা দিয়েছেন।
অভিযোগ নিরসন না করায় গ্রাহকের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। স্টেশনে অবশিষ্ট স্বল্প সংখ্যক লাইনক্রুরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে স্টেশন ছেড়ে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন। লাইনম্যান না থাকায় দৈনিক শ্রমিক ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকবল দিয়ে বিতরণ লাইনে কাজ করানো হচ্ছে। কিন্তু সচল লাইনে অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স করার অভিজ্ঞতা না থাকায় নানা জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে।
- বিষয় :
- পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি