ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

কোস্টগার্ডের মামলার পর কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের রুট পারমিট বাতিল

কোস্টগার্ডের মামলার পর কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের রুট পারমিট বাতিল

সংগৃহীত ছবি

বরিশাল ব্যুরো

প্রকাশ: ০৮ জুন ২০২৫ | ১৩:০১

ঢাকা-বরিশাল নৌপথে যাত্রীবাহী কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে। শনিবার রাতে লঞ্চটির রুট পারমিট বাতিলের আদেশ দেয় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এর আগে শুক্রবার রাতে লঞ্চের মালিক মনজুরুল ইসলাম ফেরদৌসসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে বরিশাল কোতোয়ালী থানা মামলা দায়ের করেছে কোস্টগার্ড।

বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম-পরিচালক মুহম্মদ মোবরাক হোসেনের স্বাক্ষরিত রুট পারমিট বাতিল আদেশে বলা হয়েছে, এমভি কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চটি বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে যাত্রী নিয়ে ঢাকা সদরঘাট থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। সদরঘাট টার্মিনাল ত্যাগ করার পর পোস্তগোলা ব্রীজ অতিক্রম করার আগে লঞ্চের একটি প্রপেলার ভেঙে যায়।

বিশ্বস্ত সূত্রে এ তথ্য জানার পর  বিআইডব্লিউটিএর পরিবহন পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম দায়িত্বরত মাষ্টার শুক্কুর ও ড্রাইভার মিজানুর রহমানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন। তারা প্রপেলার ভাঙ্গার কথা স্বীকার করেন। সম্ভাব্য দূর্ঘটনা এড়াতে লঞ্চের মাষ্টারকে যাত্রা বাতিল করে সদরঘাট টার্মিনালে ফেরত আসার নির্দেশ দেয়া হয়। 

বিআইডব্লিউটিএ যুগ্ম-পরিচালক (নৌনিট্রা) লঞ্চের মাষ্টারের সঙ্গে ফোনে কথা বলে একই নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে মাষ্টারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। নির্দেশ অমান্য করে লঞ্চটি এক ইঞ্জিনে চালিয়ে শুক্রবার সকালে বরিশালে পৌঁছায়। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এবং ঈদ-উল-আযহায় ঘরমুখো যাত্রীদের জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা ছিল। ফলে কর্তৃপক্ষের তথা সরকারের ভাবমুর্তি নষ্ট হতে পারতো। লঞ্চটির চলাচল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে স্থগিত থাকবে। 

এদিকে শুক্রবার সকালে কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চ বরিশাল নৌবন্দরে পৌঁছার পর যাত্রীদের সঙ্গে লঞ্চ কর্মচারীদের হট্টগোল হয়। যাত্রীদের অভিযোগ, তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া হয়েছে। তখন কোস্টগার্ড ঘটনাস্থলে যায়। লঞ্চের মালিক ফেরদৌস দলবলসহ কোস্টগার্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে অসাদচরণ করেন। সরকারি কাজে বাধা  দেয়ার অভিযোগে শুক্রবার রাতে মামলা করেন কোষ্টগার্ডের কনটিনিজ কমান্ডার শাহজালাল। এ ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের ম্যানেজার মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন ও মাস্টার শুকুর আলী।

আরও পড়ুন

×