অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন আয়োজনে ৪৮ লাখ ডলার দিচ্ছে জাপান

ছবি: সংগৃহীত
কূটনৈতিক ও সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৫ | ০১:৪৮
বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করতে একত্রে কাজ করবে জাপান ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)। এ বিষয়ে দু’পক্ষ একটি চুক্তি সই করেছে। চুক্তির আওতায় নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ৪৮ লাখ মার্কিন ডলার সহায়তা দেবে জাপান। একটি অবাধ, স্বচ্ছ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে আরও জোরদার করতে এ অর্থ ব্যয় করা হবে।
গতকাল বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে চুক্তিতে সই করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচি ও ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার। সেখানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন, চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ব্যুরোর মহাপরিচালক ইশিজুকি হিদে উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে জানানো হয়, চুক্তিটির আওতায় বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের প্রাতিষ্ঠানিক, কারিগরি ও কার্যক্রম পরিচালনার দক্ষতা বাড়াতে জাপান প্রায় ৪৮ লাখ মার্কিন ডলার সহায়তা করবে। প্রকল্পটির লক্ষ্য ভোটার ও নাগরিক শিক্ষা জোরদার করা, নারী, যুবসমাজ এবং সমাজে প্রতিনিধিত্ব কম এমন গোষ্ঠীর বৃহত্তর অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করা, সেই সঙ্গে পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়াজুড়ে স্বচ্ছতা ও সততা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া। এই নির্বাচনী সহায়তা বাংলাদেশের সঙ্গে জাপানের বন্ধুত্ব এবং ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি, মানবিক নিরাপত্তা এবং গণতান্ত্রিক উন্নয়নকে এগিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতির অংশ।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন জাপানের সহযোগিতাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এই চুক্তি আমাদের কার্যব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে এবং জনসাধারণের আস্থা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত রেখে নির্বাচন আয়োজনে সহায়তা করবে।
জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচি বলেন, বাংলাদেশ এখন গণতান্ত্রিক পথে যাত্রার এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে রয়েছে। জাপান বাংলাদেশকে সম্মান করে এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে দেশটির শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক রূপান্তরের প্রচেষ্টাকে পূর্ণ সমর্থন করে। আমরা আশা করি ইউএনডিপির মাধ্যমে জাপানের এই সহায়তা উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।
ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার জাপানের উদারতা ও দীর্ঘস্থায়ী অংশীদার হিসেবে সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, জাপানের সহায়তা একটি শান্তিপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য, যা জনগণের সত্যিকারের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটায়, এমন নির্বাচন আয়োজনে বাংলাদেশকে সাহায্য করবে। এটা আমাদের যৌথ লক্ষ্যে নতুন শক্তি যোগ করেছে।
জাপানের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ বর্তমানে একটি ঐতিহাসিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রকল্পটি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে সাড়া দেওয়া এবং গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা, নির্বাচনী অখণ্ডতা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক অংশগ্রহণকে সহায়তা করার জন্য জাপান, ইউএনডিপি এবং বাংলাদেশের যৌথ প্রতিশ্রুতি প্রতিফলন করে।
- বিষয় :
- জাপান
- নির্বাচন কমিশন