ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

‘জ্ঞানের নতুন ক্ষেত্র সৃষ্টিতে শিক্ষকদের অবদান রাখতে হবে’

‘জ্ঞানের নতুন ক্ষেত্র সৃষ্টিতে শিক্ষকদের অবদান রাখতে হবে’

বশেফমুবিপ্রবির উদ্যোগে কর্মশালায় অতিথিরা

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২০ | ০০:১৫ | আপডেট: ২৫ আগস্ট ২০২০ | ০০:৫৩

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, শিক্ষক ও গবেষকদের নিরলস জ্ঞানচর্চা ও নিত্য নতুন বহুমুখী মৌলিক এবং প্রায়োগিক গবেষণার ভেতর দিয়ে জ্ঞানের দিগন্তের ক্রম সম্প্রসারণ করতে হবে। 

রোববার বশেফমুবিপ্রবির উদ্যোগে আয়োজিত দুইদিন ব্যাপী ‘ট্রেনিং অন ইলিমেন্টস অব কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স ইন হায়ার এডুকেশন’ শীর্ষক কর্মশালায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুশান্ত কুমার ভট্টাচার্য এবং রেজিস্ট্রার খন্দকার হামিদুর রহমান। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা একটি আন্তর্জাতিক মানের গবেষণানির্ভর উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এ লক্ষ্যে নানা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। 

‘এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাধ বুদ্ধিচর্চা, মননশীলতা ও চিন্তার স্বাধীনতা বিকাশের পরিবেশ থাকবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের পাঠদান পদ্ধতিতে সম্ভাব্য সব ক্ষেত্রে দেশের বাস্তবতাকে উচ্চশিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে। রাষ্ট্র ও সমাজের সমস্যা শনাক্ত করার সঙ্গে এর সমাধানও বের করতে হবে।’

অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্য হচ্ছে-কার্যকরভাবে বিশ্বমানের শিক্ষাদান, শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনুসন্ধিৎসা জাগানো এবং মানবিক গুণাবলী অর্জনে সহায়তা। শিক্ষার মানের দিক দিয়ে আমরা কোনো ছাড় দেব না। শিক্ষকদের দক্ষ ও যুগোপযোগী জ্ঞান আহরণ করতে হবে। একইসঙ্গে গবেষণার সংখ্যা ও মান বৃদ্ধি করতে হবে।

শিক্ষকদের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, উচ্চশিক্ষার অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে আধুনিক এবং দ্রুত অগ্রসরমান বিশ্বের সঙ্গে কার্যকর পরিচিতি ও সমন্বয় রক্ষা করে চলা। একইসঙ্গে জাতীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে নেতৃত্বদানের উপযোগী বিজ্ঞানমনস্ক, অসাম্প্রদায়িক, উদারনৈতিক, মানবমুখী, প্রগতিশীল ও দূরদর্শী নাগরিক তৈরি করা। বশেফমুবিপ্রবি সে কাজটাই করে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি। 

এসময় তিনি জ্ঞান চর্চা, গবেষণা, সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী হতে জ্ঞানের নতুন নতুন ক্ষেত্র সৃষ্টিতে অবদান রাখতে শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান।

কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে ছিলেন গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মুহাম্মদ শাহজালাল। দুইদিনের কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষিকারা অংশ নেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি


আরও পড়ুন

×