সীমান্ত হত্যা বন্ধের বিষয় এবারও প্রাধান্য পাচ্ছে

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মধ্যে মহাপরিচালক পর্যায়ে চার দিনব্যাপী সীমান্ত সম্মেলন গতকাল বৃহস্পতিবার বিজিবি সদর দপ্তর পিলখানায় শুরু হয়েছে। সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করছে। বিএসএফ মহাপরিচালক রাকেশ আস্থানার নেতৃত্বে ৬ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধি দল সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে।

এবারের সম্মেলনেও সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের গুলি, হত্যা ও আহত না করার বিষয়টি প্রাধান্য পাচ্ছে। এ ছাড়া সীমান্তের অপর প্রান্ত থেকে বাংলাদেশে ফেনসিডিল, গাঁজা, মদ, ইয়াবা, ভায়াগ্রা, সেনেগ্রা ট্যাবলেটসহ মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের চোরাচালান বন্ধ, অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ম্ফোরক দ্রব্য পাচার, বাংলাদেশি নাগরিকদের ধরে নিয়ে যাওয়া বা আটক, অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম, বাংলাদেশে জোরপূর্বক অনুপ্রবেশ করানো, মানসিক ভারসাম্যহীন ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে পুশইন, সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে উন্নয়নমূলক নির্মাণ কাজ, উভয় দেশের সীমান্ত নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ, বাংলাবান্ধা আইসিপিতে দর্শক গ্যালারি নির্মাণ, সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নে যৌথ টহল পরিচালনা, রিজিয়ন ও ফ্রন্টিয়ার পর্যায়ের অফিসারদের নিয়মিত বৈঠক আয়োজন, পার্বত্য অঞ্চলে হিল ফ্লাইং প্রশিক্ষণ, অপারেশন পরিচালনা এবং উভয় বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ ও বিরাজমান সৌহার্দ্য বৃদ্ধির উপায় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালকবৃন্দ, বিজিবি সদর দপ্তরের সংশ্নিষ্ট স্টাফ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যৌথ নদী কমিশন এবং ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তারা প্রতিনিধিত্ব করছেন। ভারতীয় প্রতিনিধি দলে বিএসএফ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা রয়েছেন। সম্মেলনের শেষ দিনে ১৯ সেপ্টেম্বর সকালে যৌথ আলোচনার দলিল স্বাক্ষর হবে। ওই দিনই বিএসএফ প্রতিনিধি দল ঢাকা ত্যাগ করবে।