জানুয়ারিতেই দেশের বাজারে টিকা ছাড়তে চায় গ্লোব বায়োটেক

প্রতীকী ছবি
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২০ | ০৯:৫৯
হিউম্যান ট্রায়ালের অনুমতি পাওয়া গেলে জানুয়ারি মাসের মধ্যেই দেশের বাজারে আসবে দেশীয় ওষুধ নির্মাতা গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের কভিড-১৯ টিকা 'বানকভিড'। সোমবার স্থানীয় একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান কোম্পানির কর্মকর্তারা।
তারা জানান, খরগোশ ও ইঁদুরের শরীরে প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে তারা ভালো সাফল্য পেয়েছেন। এখন মানুষের শরীরে এটি পরীক্ষা করতে হবে। এ জন্য বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের (বিএমআরসি) অনুমতি লাগবে। সংবাদ সম্মেলনে গ্লোব বায়োটেকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন, বানকভিডের প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফল বায়োআর্কাইভে প্রকাশিত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন নোয়াখালী-৩ আসনের এমপি মামুনুর রশীদ কিরণ। বানকভিডের নানা দিক তুলে ধরেন গ্লোব বায়োটেকের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাকন নাগ।
হারুনুর রশিদ বলেন, প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালগুলো থেকে বোঝা যায় যে, বানকভিড বিশ্বের অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানের টিকাগুলোর মতোই সম্ভাবনাময়। ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় শুধু স্থানীয়ভাবে নয়, বিশ্ববাজারে এটি রপ্তানি করা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, করোনার টিকার জন্য সরকার ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে। এখন সরকার প্রয়োজনীয় সহায়তা দিলে বানকভিড টিকা রপ্তানি করে ৫০ হাজার কোটি টাকারও বেশি আয় করা সম্ভব হবে।
কাকন নাগ বলেন, ইঁদুরের ওপর এই টিকার প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালগুলো এরই মধ্যে নিরাপদ এবং কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। গ্লোব বায়োটেক এখন নিয়ম অনুযায়ী তৃতীয় পক্ষ তথা কন্ট্রাক্ট রিসার্চ অর্গানাইজেশনের (সিআরও) সঙ্গে একত্রে টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পরিচালনার জন্য প্রটোকল প্রস্তুত করছে। শিগগিরই টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন চেয়ে বিএমআরসির কাছে আবেদন করা হবে। বিএমআরসি থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য আবার ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের (ডিজিডিএ) কাছে আবেদন করা হবে। এখান থেকে অনুমোদন পাওয়া গেলেই সিআরওর মাধ্যমে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বা হিউম্যান ট্রায়াল শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে গবেষণাগুলোতে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ক্ষেত্রে ভাইরাসের 'ডি৬১৪ জি' রূপটি শতভাগ দায়ী। গ্লোব বায়োটেকের নিজস্ব প্রযুক্তির সাহায্যে উদ্ভাবিত 'বিএনকভিড' 'ডি৬১৪জি'-এর বিরুদ্ধে একমাত্র এবং প্রথম টিকা। কার্যকর এবং নিরাপদ টিকা বাজারে আনার জন্য যা কিছু করা দরকার, গ্লোব বায়োটেক তা করেছে। পরবর্তী পদক্ষেপ এবং চূড়ান্ত সাফল্য সরকার এবং দেশের জনগণের সহযোগিতার ওপর নির্ভর করছে।
গত ২ জুলাই প্রথম সংবাদ সম্মেলন করে গ্লোব বায়োটেক দেশেই করোনাভাইরাসের টিকা উদ্ভাবনের ঘোষণা দেয়। এখন পর্যন্ত তারাই দেশের একমাত্র প্রতিষ্ঠান, যারা টিকা আনার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।