ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

মি. বেকারের বিরুদ্ধে ৮০ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকির মামলা

মি. বেকারের বিরুদ্ধে ৮০ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকির মামলা

ফাইল ছবি

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২০ | ০৮:৪৯

কনফেকশনারী ও বেকারি প্রতিষ্ঠান 'মি. বেকার' এর বিরুদ্ধে ৮০ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকির মামলা করেছে ভ্যাট নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। ২৬৫ কোটি টাকার বিক্রির তথ্য গোপন করে ৩৪ কোটি ৬০ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকি দেওয়ার প্রমাণ পাওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়েছে। রোববার ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান এ সব তথ্য জানান।

গত ১৮ অক্টোবর অবসপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব আসিফ জামান তার নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের ৪ নম্বর রোডে অবস্থিত 'মি বেকার' এর বিক্রয় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ভ্যাট চালান না দেওয়ার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেন। তিনি ওই স্ট্যাটাসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের কাছে প্রতিকার চেয়ে উল্লেখ করেন, ভোক্তারা ভ্যাট দিলেও তা সরকার পাচ্ছে না।

এ অভিযোগ ও আরও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম অভিযোগটি তদন্তের জন্য ভ্যাট গোয়েন্দাকে নির্দেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২০ অক্টোবর ভ্যাট গোয়েন্দার একটি দল রাজধানী তুরাগের ধোউড়ার মোকদাম আলী সরকার রোডে অবস্থিত 'মি. বেকার কেক অ্যান্ড পেস্ট্রি শপ লিমিটেড' এর কারখানা ও প্রধান কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করে।

ড. মইনুল খান জানান, রাজধানীতে প্রতিষ্ঠানটির ২৯টি বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে, এর মাধ্যমে কারখানায় উৎপাদিত পণ্য বিক্রয় করে থাকে মি. বেকার। ভ্যাট গোয়েন্দার অভিযানে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি কোনো ধরনের হিসাব সংরক্ষণ ব্যতীত ব্যবসা পরিচালনা করছে। তিনি জানান, অনুসন্ধানের স্বার্থে টঙ্গী এলাকায় এই প্রতিষ্ঠানের নামে খোলা দু’টি ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়। এতে তাদের আর্থিক প্রতিবেদন পাওয়া যায় এবং এগুলো পর্যালোচনায় তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম সম্পর্কে একটি চিত্র উঠে আসে। ভ্যাট গোয়েন্দা দলের পরিদর্শনের সময় প্রতিষ্ঠানটিতে ভ্যাট আইনের বাধ্যবাধকতা অনুসারে ক্রয় হিসাব পুস্তক (মূসক-৬.১) ও বিক্রয় হিসাব পুস্তক (মূসক-৬.২) পাওয়া যায়নি। ভ্যাট আইন অনুযায়ী উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এই দু’টি হিসাব সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

মইনুল খান জানান, পরিদর্শনকালে ভ্যাট সংক্রান্ত অন্যান্য দলিলাদি দেখাতে বলা হলে, উপস্থিত মালিকপক্ষ তা দেখাতে পারেননি এবং এগুলো সংরক্ষণ না করার বিষয়ে তারা কোন সদুত্তরও দিতে পারেননি।

অভিযানে জব্দ করা এবং অনুসন্ধানের মাধ্যমে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দেখা যায়, ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত কোম্পানিটি মোট ২৬৫ কোটি টাকার বিক্রির তথ্য গোপন করেছে। এতে ৩৪ কোটি ৬০ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে তারা। এর সুদসহ মোট পাওনা দাঁড়িয়েছে ৮০ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন

×