২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা: জামিন মেলেনি সাবেক ২ পুলিশ কর্মকর্তার

ভয়াবহ একুশে আগষ্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পুলিশের সাবেক দুই কর্মকর্তার জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

জামিন চেয়ে করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ রোববার উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আবেদনটি খারিজ করে দেন। ফলে পুলিশের এই সাবেক দুই কর্মকর্তাকে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে।

তারা হলেন-পুলিশের সাবেক ডিআইজি খান সাঈদ হাসান ও ডিএমপির সাবেক উপ-কমিশনার ওবায়দুর রহমান খান। আদালতে তাদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আরশাদুর রউফ ও আইনজীবী জামিলুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

এ মামলায় সাবেক ডিআইজি খান সাঈদ হাসান ও ডিএমপির সাবেক উপ-কমিশনার ওবায়দুর রহমান খানকে দুই বছর কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত।

আইনজীবীরা জানান, গত বছরের ২৮ জানুয়ারি তারা আত্মসমর্পণ করে আপিল করেন। হাইকোর্ট তাদের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে জরিমানা স্থগিত করেন। ২০২০ সালে ৯ মার্চ তাদের জামিন আবেদন খারিজ করেন হাইকোর্ট। এরপর তারা আপিল বিভাগে আবেদন করলে রোববার খারিজ হয়ে যায়।

২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার আদালত সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দেন এ মামলায়। একইসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয় অপর ১১ আসামিকে।

২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলাটি চালানো হয়। অল্পের জন্য ওই হামলা থেকে প্রাণে বেঁচে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তবে হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক, সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভী রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন দলের তিন শতাধিক নেতাকর্মী। ঘটনার পরদিন মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে মামলা করেন।