বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরকারী ও জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২০ | ০৭:৫৩ | আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২০ | ১৩:৩২
স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতাকারী ও ভাঙচুরকারী অপরাধীদের পাশাপাশি এসবের উসকানিদাতাদের বিরুদ্ধে আইনানুগভাবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে ভাস্কর্য, ম্যুরাল, প্রতিকৃতি সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে এবং এসব বিষয়ে জনমনের বিভ্রান্তি দূর করতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ও বায়তুল মোকাররম মসজিদের খতিবকে তাদের বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচার করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যসহ দেশের সব ভাস্কর্য রক্ষায় নিরাপত্তা চেয়ে করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
এ ছাড়া সংবিধানের ৭(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ভাঙচুরকারী ও উসকানিদাতাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং বিবাদীদের নিষ্ক্রিরিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়। স্বরাষ্ট্র সচিব, ধর্ম সচিব, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সচিব, পুলিশের আইজি, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালককে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাসার।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। এর আগে গত ১৩ নভেম্বর ঢাকার গেণ্ডারিয়ার ধূপখোলা মাঠে 'তৌহিদী জনতা ঐক্য পরিষদে'র ব্যানারে এক সমাবেশ থেকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করা হয়। একই দিনে রাজধানীর বিএমএ অডিটোরিয়ামে খেলাফত যুব মজলিস ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে শানে রিসালাত কনফারেন্সে মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ভাস্কর্য নির্মাণের পরিকল্পনা থেকে সরে না দাঁড়ালে আরেকটি শাপলা চত্বরের ঘটনা ঘটবে এবং বুড়িগঙ্গায় ভাস্কর্য ছুড়ে ফেলা হবে। একই দিন ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের আমির সৈয়দ ফয়জুল করিম একটি অনুষ্ঠানে মামুনুল হকের সুরেই কথা বলেন।
গত ৬ ডিসেম্বর হাইকোর্টের সংশ্নিষ্ট শাখায় উল্লিখিত রিটটি দাখিল করেন আইনজীবী উত্তম লাহেড়ি।