ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই শুরু ১৯ ডিসেম্বর

সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২০ | ০৭:৫০
আইন ও বিধিবহির্ভূতভাবে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ২০০২ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত গেজেটভুক্ত ব্যক্তিদের নথিপত্র যাচাই-বাছাই আগামী ১৯ ডিসেম্বর শুরু হচ্ছে। ওইদিন সকাল ১০টায় উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় (ইউএনও) এবং মহানগর পর্যায়ে ডেপুটি কমিশনারের (ডিসি) কার্যালয়ে এ যাচাই-বাছাই চলবে। বুধবার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ৩ ডিসেম্বর জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) সভায় আইন ও বিধিহির্ভূতভাবে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ২০০২ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত গেজেটভুক্ত ব্যক্তিদের যাচাই-বাছাইয়ের জন্য কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, স্থানীয় এমপি যদি মুক্তিযোদ্ধা হন তাহলে তিনি বা জামুকা মনোনীত প্রতিনিধি মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির নেতৃত্ব দেবেন। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন- স্থানীয় এমপি'র মনোনীত প্রতিনিধি ও জেলা প্রশাসক মনোনীত প্রতিনিধি। তবে তাদের অবশ্যই ভারতীয় তালিকা বা লালমুক্তি বার্তায় তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা হতে হবে। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন-২০০২ অনুযায়ী কোনো মুক্তিযোদ্ধা প্রার্থীর তথ্য সংবলিত আবেদন প্রথমে নিজ উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের মাধ্যমে যাচাই হয়। উপজেলা কমিটির সুপারিশে প্রাথমিকভাবে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হলে ওই তালিকা জামুকায় পাঠানো হয়। জামুকার সভায় তদন্ত ও অনুমোদনের পর সংশ্লিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাকে গেজেটভুক্ত করে মন্ত্রণালয়। কিন্তু ২০০২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে আইন ও বিধিবহির্ভূতভাবে প্রায় ৫৫ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে গেজেটভুক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে তাদের মধ্যে যারা ভারতীয় তালিকা বা লালমুক্তি বার্তায় অন্তর্ভুক্ত আছেন তাদের যাচাইবাছাই করা হবে না। সে হিসেবে পুনঃযাচাইয়ে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ৪১ হাজার হতে পারে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।