পদ্মা সেতুতে এক ক্রেন ব্যবহারে প্রতি মাসে খরচ ৩০ লাখ টাকা

ভাসমান ক্রেন তিয়ান-ই
লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) সংবাদদাতা
প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ | ১২:২১ | আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ | ১২:৩৬
পদ্মা সেতুতে দীর্ঘ তিন বছর ৯ মাস কাজ শেষে চীনে ফিরে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ধারণ ক্ষমতার ভাসমান ক্রেন তিয়ান-ই। পদ্মা সেতুর স্প্যান বসাতে বিশেষ এই ক্রেনটি আনা হয়েছিল চীন থেকে। এটি ব্যবহারে প্রতি মাসে খরচ পড়েছে ৩০ লাখ টাকা। অর্থাৎ, পদ্মা সেতু প্রকল্পে ক্রেনটি ব্যবহারে ৪৫ মাসে খরচ হয়েছে সাড়ে ১৩ কোটি টাকা।
গত ১০ ডিসেম্বর ৪১তম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে পুরো দৃশ্যমান হয় ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটারের পদ্মা সেতু। সেতুতে স্প্যান বসানোর কাজে ব্যবহৃত হয়েছিল ভাসমান ক্রেন তিয়ান-ই। কাজ শেষ হয়ে যাওয়ায় রবিবার সকালে ক্রেনটি পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকা ছেড়ে চট্রগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।
প্রতি মাসে ৩০ লাখ টাকা খরচের বিষয়টি নিশ্চিত করে পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের জানান, চীনে তৈরি ৩ হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার বিশেষ ধরনের এই ভাসমান ক্রেনটির দাম আড়াই হাজার কোটি টাকা। ২০১৭ সালের মার্চ মাসে ক্রেনটি পদ্মা সেতু প্রকল্পে আনা হয়। সে বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর প্রথম স্প্যান থেকে চলতি বছরের গত ১০ ডিসেম্বর সেতুর ৪২টি পিয়ারে ৪১টি স্প্যান বসানোর কাজ করে ক্রেনটি।
তিনি আরও জানান, রোববার সকালে ক্রেনটি চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে যাওয়ার জন্য মাওয়া থেকে বিদায় নিয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরে থেকে সেটি হংকং হয়ে চীনে পাড়ি জমাবে। মাওয়া থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ক্রেনটির যাত্রা নিরাপত্তায় থাকবে পুলিশ, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা। সেখান থেকে কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স শেষে বড় মাদার ভ্যাসেলে সেটি হংকংয়ের উদ্দেশে রওনা হবে। এটি চীন পৌঁছাতে এক মাসেরও অধিক সময় লাগবে জানান তিনি।
- বিষয় :
- পদ্মা সেতু
- ক্রেন
- তিয়ান-ই