সরকারি হাই স্কুলের ভর্তি ফরম বিতরণ শুরু

ফাইল ছবি
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২০ | ০৮:৩৬
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য মঙ্গলবার থেকে অনলাইনে আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে। আগামী ২৭ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভর্তিচ্ছুরা আবেদন করতে পারবে। ৩০ ডিসেম্বর অনলাইনে লটারির মাধ্যমে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে।
করোনাজনিত পরিস্থিতিতে এ বছর বিদ্যালয় থেকে ভর্তি ফরম বিতরণ করা হবে না। ভর্তির আবেদন শুধু মংধ.ঃবষবঃধষশ.পড়স.নফ-এই ঠিকানায় পাওয়া যাবে।
এদিকে, গত সোমবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) উপপরিচালক মো. এনামুল হক হাওলাদার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনলাইন এবং এসএমএসের মাধ্যমে ভর্তির আবেদনপত্র পূরণ ও ফি দেওয়ার নিয়মাবলি প্রকাশ করা হয়েছে।
গতবারের মতো এবারও বিদ্যালয়গুলোকে তিনটি গুচ্ছ বা ভাগ (এ, বি এবং সি) করে ভর্তি হবে। এবার একজন শিক্ষার্থী আবেদনের সময় প্রাপ্যতার ভিত্তিতে একটি গুচ্ছের পাঁচটি বিদ্যালয়ে ভর্তির পছন্দক্রম দিতে পারবে। সেখান থেকে লটারির মাধ্যমে যে কোনো একটি বিদ্যালয় নির্বাচন করে দেওয়া হবে। এতদিন একজন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী একটি গুচ্ছের মধ্যে মাত্র একটি বিদ্যালয়কে বেছে নিতে পারত।
ভর্তির আদেশে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগরীর ৪৪টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় তিনটি গ্রুপে বিভক্ত থাকবে। এ ছাড়া সারাদেশে আবেদনকারীরা আবেদনের সময় প্রতিষ্ঠান নির্বাচনকালে থানাভিত্তিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা পাবে।
ভর্তির আবেদন করতে ১১০ টাকা ফি শুধু টেলিটকের প্রি-পেইড মোবাইল ফোন থেকে এসএমএস করে পরিশোধ করা যাবে। করোনাজনিত পরিস্থিতিতে সরকারি-বেসরকারি স্কুলের ভর্তি ফরমের মূল্য কমানো হয়েছে। সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৭০ টাকার পরিবর্তে ১১০ টাকা এবং বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোতে ২০০ টাকার স্থলে ১৫০ টাকা করা হয়েছে।
মাউশির উপপরিচালক এনামুল হক হাওলাদার সমকালকে বলেন, রাজধানী ঢাকার ৩৯টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভর্তি নীতিমালা অনুসারে ভর্তি চলবে। তিনি বলেন, এ বছর নতুন কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। ৪০ শতাংশ ক্যাচমেন্ট এরিয়ার (এলাকা কোটা) পরিবর্তে তা বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করা হয়েছে। তিনি বলেন, টেলিটক মোবাইল কোম্পানির সফটওয়্যারের মাধ্যমে অনলাইনে ভর্তির আবেদন ও লটারি হবে।
মাউশি থেকে জানা গেছে, ঢাকা মহানগরীতে ৩৯টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৩টি শাখা রয়েছে। ঢাকার এই বিদ্যালয়গুলোতে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ২০২১ শিক্ষাবর্ষে আসন আছে সাড়ে ১১ হাজারের মতো। এবার এ তালিকায় জাতীয়করণ হওয়া আরও দুটি বিদ্যালয় যুক্ত হচ্ছে। এগুলোতে মাউশির অধীনে কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনায় ভর্তির কাজ করা হয়।