ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে আগ্রহী ভারত

তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে আগ্রহী ভারত

দুই প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন - পিআইডি

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ | ০৮:৪৮ | আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ | ০৮:৫৯

বাংলাদেশের সঙ্গে ভার্চুয়াল শীর্ষ বৈঠকে ভারত তিস্তা চুক্তিসহ অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে আগ্রহ দেখিয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলনের পর দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন এবং সীমান্ত হত্যার প্রসঙ্গ তুলে ধরা হয়। তিস্তা চুক্তিসহ অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টনে অগ্রগতির জন্য দু'দেশের যৌথ নদী কমিশনের বৈঠকসহ পুরো প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে ভারত আগ্রহ দেখিয়েছে। এই ইস্যুতে দু'দেশেই স্ব স্ব বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছে। একই সঙ্গে ছয়টি নদীর সীমানা নির্ধারণে জটিলতা নিরসনের বিষয়টিও আলোচিত হয়েছে। আশা করা হচ্ছে- এ সংক্রান্ত জটিলতা দ্রুতই নিরসন হবে।

সীমান্ত হত্যা বন্ধ নিয়ে আলোচনা সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেই বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে নন লিথাল উইপন (প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র) ব্যবহারের নির্দেশনা দেবেন বলে জানিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কোনো সীমান্ত হত্যা চায় না। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তবে সীমান্তে ক্রিমিনাল অ্যাক্টিভিটি রয়েছে। আমাদের লোকজনও সেসব অ্যাক্টিভিটির সঙ্গেও জড়িত। এসব বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যৌথ সীমান্ত ব্যবস্থাপনারও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আলোচনায় দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই দুই দেশের সম্পর্ককে সোনালি অধ্যায় হিসেবে অবহিত করেছেন।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল তৎকালীন মুজিবনগর সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে ভারত থেকে যে সড়ক দিয়ে বিদেশি সাংবাদিকসহ অন্যান্যরা এসেছিলেন সে সড়কটি বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। এ সড়কটি চালুর জন্য বাংলাদেশ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের বছরেই সড়কটি উদ্বোধনের জন্য প্রস্তাবে বলা হয়েছে। সড়কটি চালু হলে দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগও বাড়বে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, বৈঠকে ব্রিকস ব্যাংকে যোগদানের জন্য বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

আরও পড়ুন

×