ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

ডা. সাবরিনার জামিন আবেদন খারিজ

ডা. সাবরিনার জামিন আবেদন খারিজ

ডা. সাবরিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে (ফাইল ছবি)

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২০ | ০৪:১০

করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা শারমিনের জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজল সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। খবর বাসসের

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল মো. মনিরুল ইসলাম।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মনিরুল ইসলাম আদালতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বিচারিক আদালতে এই মামলটি সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষে মোট ৪৩ সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। পরবর্তী সাক্ষ্যের জন্য আগামী ৬ জানুয়ারি তারিখ ধার্য রয়েছে।

সাবরিনা-তার স্বামী আরিফুল ছাড়াও এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা।

গত ২০ আগস্ট একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। গত ৫ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক লিয়াকত আলী।

এ মামলার অভিযোগপত্রে সাবরিনা ও আরিফুলকে জালিয়াতি ও প্রতারণার মূলহোতা ও বাকি ছয়জনকে অপরাধে সহায়তাকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

করোনার ভুয়া রিপোর্ট দানকারী প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথকেয়ারের কর্ণধার আরিফুল চৌধুরীর স্ত্রী ডা. সাবরিনা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের একজন চিকিৎসক। মামলার পর ওই প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

গত ১২ জুলাই সাবরিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তেজগাঁও বিভাগীয় উপ-পুলিশ (ডিসি) কার্যালয়ে আনা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সুনির্দিষ্ট মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

করোনার ভুয়া সনদ দেওয়া, জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে আরিফুলসহ ছয়জনকে গত ২৩ জুন গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ।

আরও পড়ুন

×