ভারতের ঋণের প্রকল্প বাস্তবায়নে দরপত্রের শর্ত সহজ হচ্ছে

কূটনৈতিক প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০২১ | ০৮:১৯
ভারতের ঋণের প্রকল্প বাস্তবায়েন ক্ষেত্রে দরপত্রের শর্ত সহজ হবে। ভারতের ঋণের (এলওসি) অর্থে বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য দু'দেশের প্রতিনিধিদের ভার্চুয়াল বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে আগামী ২০ ও ২১ জানুয়ারি উচ্চ পর্যায়ের আরও একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। মঙ্গলবার ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত রোববার (৩ জানুয়ারি) এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ভারতের ঋণের অর্থ দ্রুত ছাড় এবং প্রকল্প বাস্তবায়নের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে দেশটির ঋণ প্রকল্পগুলোর দরপত্র সহজ করাসহ একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এতে জানানো হয়, বাংলাদেশ সরকারের কাছে ঋণচুক্তির অধীনে ভারত সরকারের মোট প্রতিশ্রুত ৭ হাজার ৮৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যার মধ্যে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয়ের জন্য অনুমোদিত ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বর্তমানে ভারত সরকারের তিনটি ঋণচুক্তির আওতাধীন ৪৬টি প্রকল্পের মধ্যে ১৪টি প্রকল্প শেষ হয়েছে, যেগুলোতে মোট বরাদ্দের পরিমাণ ৪১২ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ ছাড়া আটটি প্রকল্প চলমান (১ হাজার ১৩ দশমিক ৭৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার), ১৫টি প্রকল্প দরপত্র পর্যায়ে (৩ হাজার ১৯৫ দশমিক ৪৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) এবং ১৪টি প্রকল্প ডিপিপি (৩ হাজার ৮১ দশমিক ৩৪ মার্কিন ডলার) প্রস্তুতি পর্যায়ে রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারের প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলো ভারতের সঙ্গে এ পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ২৭৬ দশমিক ৩৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের চুক্তি সই করেছে, যা মোট ঋণচুক্তির ১৭ শতাংশ। এ জাতীয় চুক্তির আওতায় ভারতের এক্সিম ব্যাংক এখন পর্যন্ত ৭১৯ দশমিক ৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (চুক্তির মূল্যের ৫৬ শতাংশ) বিতরণ করেছে। প্রথম ঋণচুক্তির ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদানে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এ ছাড়া আলোচনায় দরপত্র প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে। যা বিজয়ী দরদাতাদের চুক্তি প্রদান এবং প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে গতি বাড়াবে। বাস্তবায়নের আওতাধীন প্রকল্পগুলো কার্যকরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে এবং সময়মতো অর্থায়ন নিশ্চিতকরণ এবং ছাড় করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব, ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনার এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র ও সুরক্ষা সেবা বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও ভারতীয় হাইকমিশন, ঢাকা এবং ভারতের এক্সিম ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা পর্যালোচনা সভায় অংশ নেন।