দেশেই করোনা ধ্বংসকারী নাজাল স্প্রে উদ্ভাবনের দাবি

সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২১ | ০৯:৫৮
বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস (বিআরআইসিএম) দাবি করেছে, তারা নাক, নাসারন্ধ্র, মুখ গহ্বর এবং শ্বাস ও খাদ্যনালীর মিলনস্থলে অবস্থান করা করোনাভাইরাস ধ্বংসে সক্ষম একটি 'নাজাল স্প্রে' উদ্ভাবন করেছে। এবং বিশ্বে এটিই এ জাতীয় প্রথম স্প্রে। এটি নাক ও মুখে স্প্রে হিসেবে ব্যবহার করতে হবে।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নতুন এ স্প্রের কথা জানায় বিআরআইসিএম।
প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, 'বঙ্গসেফ ওরো-নাজাল স্প্রে' নামের এটি সীমিত পরিসরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০০ করোনা রোগীর ওপর 'ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল' চালানো হয়েছে। এ ট্রায়ালে স্প্রের কার্যকারিতার প্রমাণ মিলেছে। আরও বড় পরিসরে এর ট্রায়াল চালানো হবে বলেও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
সংসদ সচিবালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে এ স্প্রে উদ্ভাবনের জন্য বিআরআইসিএমকে ধন্যবাদ জানানো হয়। একই সঙ্গে স্প্রেটি সম্পর্কে প্রচার-প্রচারণা বাড়াতে এবং ব্যবহারের ক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে কমিটি।
কমিটির সভাপতি আ ফ ম রুহুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অংশ নেন- কমিটির সদস্য ইকবালুর রহিম, হাবিবে মিল্লাত, শফিকুল আজম খান, নিজাম উদ্দিন হাজারী, মোজাফফর হোসেন, শিরীন আহমেদ ও সেলিমা আহমাদ।
কমিটির সদস্য হাবিবে মিল্লাত বলেন, 'স্প্রেটি আরও বিস্তৃত পরিসরে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানোর পর বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে অনুমোদন নিতে বলা হয়েছে।
বিআরআইসিএম-এর গবেষকদের ভাষ্য, এ স্প্রে করোনা রোগীদের 'ভাইরাল লোড কমিয়ে মৃত্যু ঝুঁকি হ্রাস' করার পাশাপাশি 'কমিউনিটি ট্রান্সমিশন নিয়ন্ত্রণে' ভূমিকা রাখতে পারে।
বিআরআইসিএম এর মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ড. মালা খান বলেন, 'করোনাভাইরাস মুখ, চোখ ও নাকের মাধ্যমে আক্রমণ করে। এসব স্থানে ভাইরাসটি কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত অবস্থান করে। আমরা যে সলিউশন তৈরি করেছি, সেটা ৩-৪ ঘণ্টা পর পর স্প্রে করা হলে নাক, নাসিকারন্ধ্র, মুখ গহ্বর এবং শ্বাস ও খাদ্যনালীর মিলনস্থলে অবস্থান করা করোনাভাইরাস ধ্বংস হবে।'
তিনি জানান, এ স্প্রের পেটেন্টের জন্য এরই মধ্যে আবেদন করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক পেটেন্টের জন্য সিঙ্গাপুরেও আবেদন করা হবে।
তবে এ স্প্রে তৈরিতে কী ধরনের রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে, এর খরচ কেমন হতে পারে বা কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে কি-না- এসব বিষয়ে কিছু জানায়নি বিআরআইসিএম কর্তৃপক্ষ।